বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায়

বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়

নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা প্রসব হলে গর্ভধারণকৃত নারীর ভবিষ্যতে কোন ক্ষতি হওয়া সম্ভব না থাকে না। আদিকাল থেকেই এটি একটি বিশ্বস্ত ডেলিভারির মাধ্যমে হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই সকল নারীই চায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তার নবাগত শিশু পৃথিবীতে আসুক। কিন্তু নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চার অবস্থা ও ওজন সবকিছু বিবেচনার মাধ্যমে ডেলিভারি করানো হয়।

নরমাল ডেলিভারিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে বাচ্চার ওজন। নরমাল ডেলিভারি বলতে বোঝানো হয় এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় শিশুর মাথা নিচের দিকে থাকবে। আর যখন গর্ভবতী নারীর নির্দিষ্ট সময় পর প্রসব বেদনা উঠবে তখন এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করে বাচ্চা জন্ম নেবে।

এটি আগে গ্রামাঞ্চলে বিশেষ কিছু মহিলারা করতো। তারা নরমাল ডেলিভারি বাড়িতেই সম্পন্ন করতে পারত। কিন্তু বর্তমানে নরমাল ডেলিভারিও হাসপাতালে গিয়ে করানো হয়, যাতে ঝুকিমুক্ত থাকা যায়।তাই আজকে আমরা বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়ঃ
সাধারণত বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হলে নরমাল ডেলিভারি ঝুঁকিমুক্ত হয়। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ রয়েছে। নরমাল ডেলিভারি শুধু বাচ্চার ওজনের ওপর নির্ভর করে না। বরং অনেক কারণ বিদ্যমান রয়েছে যার ফলে নরমাল ডেলিভারি সম্পূর্ণ করতে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

গর্ভবতী নারীর যদি বিভিন্ন জটিলতা যেমনঃ উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, জরায়ুতে টিউমার থাকলে ইত্যাদি রোগ বিদ্যমান থাকে তাহলে নরমাল ডেলিভারি ঝুঁকিপূর্ণ হয়। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বাধ্যবাধকতা হচ্ছে গর্ভবতী নারীর বয়স। যদি বয়স ৩৫ বছর এর বেশি কিংবা ১৬ বছরের কম হয় তাহলেও নরমাল ডেলিভারি বাধাগস্ত হয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা যেটি সকল গর্ভবতী নারীদের জানা উচিত সেটি হলো গর্ভবতী নারীর যোনি যদি ছোট হয়ে থাকে নরমাল ডেলিভারিতে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে। বাচ্চার মাথা নিচের দিকে না থেকে যদি উপরের দিকে ঘুরে থাকে তাহলেও বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।

বাচ্চার মাথা নিচের দিকে না থেকে যদি উপরের দিকে থাকে তাহলে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চার ডেলিভারি করানো উত্তম। উপরোক্ত সকল সমস্যা থেকে যদি কোন গর্ভবতী নারী মুক্ত হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চার ওজন ২ থেকে ৪ কেজি ওজনের হলেও নরমাল ডেলিভারি হয়।

নরমাল ডেলিভারি ব্যাথা কেমন

গর্ভবতী নারীরা নরমাল ডেলিভারির ব্যাথা নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকে। বিশেষ করে জীবনে যাদের প্রথম নরমাল ডেলিভারি হবে তাদের। আবার অনেকের হয়তো এরকম যে প্রথম বাচ্চা সিজার এর মাধ্যমে হয়েছে, দ্বিতীয় বাচ্চাটি নরমাল ডেলিভারি করাবে। এজন্য প্রায় সকল গর্ভবতী নারীরাই নরমাল ডেলিভারির ব্যাথা কেমন? এ নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। তো চলুন আজকে নরমাল ডেলিভারি ব্যথা কেমন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

False লেবার পেইনঃ
গর্ভধারণের প্রায় ৩২ সপ্তাহ পর থেকে দিনে ১ থেকে ২ বার লেবার পেইন হয়ে থাকে। এটাকে বলা হয় False লেবার পেইন। অনেকে এই False লেভার পেইনকেই নরমাল ডেলিভারির ব্যথা হিসাবে মনে করে। কারণ ফলস লেবার পেইনের সময় পেট হালকা শক্ত মনে হয়। ফলে তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু এই False লেবার পেইনকে নরমাল ডেলিভারি ব্যাথা হিসাবে মনে করার ধারণাটি সম্পন্ন ভুল।

নরমাল ডেলিভারি ব্যথা কেমনঃ
নরমাল ডেলিভারীর ব্যথা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। এটি নারীদের জীবনে সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি। তবে বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাফল্যের কারণে বিভিন্ন মাধ্যম তৈরি হয়েছে যার ফলে নরমাল ডেলিভারির ব্যথা কমানো সম্ভব। নরমাল ডেলিভারি ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন দেওয়া হয়ে থাকে। যার ফলে আগের তুলনায় ব্যথা কম অনুভূত হয়। লেবার পেইন উঠার ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পর্যন্ত ডেলিভারির সময় হিসেবে গণ্য করা হয়।

ফলে গর্ভবতী নারীর লেবার পেইন উঠার পরে ইনজেকশন না করলে তাদের প্রবল আকারে ব্যথা অনুভূত হয়। যার ফলে তারা দুর্বিসহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। ইনজেকশন দেওয়ার পরবর্তীতে নারীর পেট যখন ৫ সেন্টিমিটার ফুলে ওঠে তখন ডেলিভারির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আশা করি নরমাল ডেলিভারির ব্যাথা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।

নরমাল ডেলিভারি কত দিনে হয়

নরমাল ডেলিভারি কত দিনে হয়? এটি প্রত্যেক গর্ভবতী নারীদের মনের প্রশ্ন। কারণ নরমাল ডেলিভারি যাদের জীবনে প্রথমবার হবে বিশেষ করে তাদের মনে এই প্রশ্নটি বেশি ভয় জাগায়। নারীদের জীবনের সবচেয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতি হলো এই ডেলিভারি করানো। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, নরমাল ডেলিভারি কতদিনে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

নরমাল ডেলিভারি কত দিনে হয়ঃ
নরমাল ডেলিভারির কত দিনে হয় তা নির্ভুলভাবে জানতে হলে ডেটিং স্ক্যানার এর মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে। সাধারণত নরমাল ডেলিভারি ২৫৯ দিন থেকে ২৯৪ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে। অর্থাৎ নরমাল ডেলিভারি ৩৭ সপ্তাহ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে হয়।

এই পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে যে কোন দিন সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তাকে স্বাভাবিক ডেলিভারি হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। নরমাল ডেলিভারি যদি ৩৭ সপ্তাহের আগে হয়, তাহলে জন্মগ্রহণকৃত শিশুকে প্রিম্যাচিওর হিসাবে গণ্য করা হয়।

অর্থাৎ জন্মগ্রহণকৃত শিশুর বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নরমাল ডেলিভারি ৪২ সপ্তাহের পরেও হয়, সেক্ষেত্রে সেই ডেলিভারি কে দীর্ঘায়িত গর্ভাবস্থা বলে আখ্যায়িত করা হয়। এক্ষেত্রেও বিভিন্ন জটিলতা জটিলতা সম্মুখীন হতে হয়।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ অনেক রকম হয়ে থাকে। যেসব গর্ভবতী নারীদের জীবনের প্রথম নরমাল ডেলিভারি হবে বা প্রথম গর্ভধারণ করছে তাদের জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণঃ

নরমাল ডেলিভারি ব্যথাটা একটু আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকে। নরমাল ডেলিভারির হওয়া প্রথম লক্ষণ হলো কোমর থেকে ব্যথা শুরু হওয়া। এই ব্যথাটি ধীরে ধীরে তলপেটের দিকে প্রভাব বিস্তার করে। তলপেট থেকে এই ব্যথাটি পুনরায় থাই ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এই ব্যথার সাথে সাথে জরায়ুর শক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াটিও সম্পন্ন হয়। ফলে পেট ও শক্ত হয়ে যায়। প্রথম অবস্থার দিকে নরমাল ডেলিভারি ব্যথা খুব ঘন ঘন শুরু হয় এবং শেষ হয়ে যায়। সাধারণত ৩০ মিনিটের মধ্যে দুইবার নরমাল ডেলিভারির ব্যাথা হয়ে থাকে এবং সেটি সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ড সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।

নরমাল ডেলিভারি ব্যথা চূড়ান্ত বলে ধরা হয় যখন ১০ মিনিটে ৩ বার থেকে ৪ বার ব্যথা হয় এবং সেটি ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তখন যদি কোন গর্ভবতী নারী টয়লেট ব্যবহার করে তখন সে পরিলক্ষিত করবে হালকা লালচে স্রাব বের হচ্ছে। নরমাল ডেলিভারির ব্যথা শুরু হবার পর থেকে প্রায় ৭ ঘন্টার মতো সময় থাকে ডেলিভারি করানোর জন্য।

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায়

অনেকের মনে এরকম প্রশ্ন থাকে , বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ? বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় এটি আসলে এটি অপ্রসঙ্গিক কথা। কারণ বাচ্চার ওজন তখনই চিন্তাশীল হবে যখন নরমাল ডেলিভারি করার প্রয়োজন পড়বে। বাচ্চার ওজন এর সাথে সিজার করার কোন সম্পর্ক নেই। কারণ বাচ্চার ওজন যতই হোক না কেন সে বাচ্চা সিজারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।

কিন্তু সমস্যা হয় তখন যখন নরমাল ডেলিভারি করা হয়। অনেকে মনে করে বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি হলে সিজার করতে হয় কিন্তু এটি নির্ভর করে গর্ভবতী নারীর উপরে। গর্ভবতী নারীর যদি উচ্চতা বেশি থাকে তাহলে বাচ্চার ওজন যেমনি হোক না কেন সেটি নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব। যেকোনো ওজনের বাচ্চাকেই সিজার করা যায়।

সাধারণত বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হলে সিজার করা হয় ঝুঁকিমুক্ত হয়। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ রয়েছে। সিজার করা হয় শুধু বাচ্চার ওজনের ওপর নির্ভর করেনা, বরং অনেক কারণ বিদ্যমান রয়েছে যার ফলে সিজার করা হয়। গর্ভবতী নারীর যদি বিভিন্ন জটিলতা যেমনঃ উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, জরায়ুতে টিউমার থাকলে ইত্যাদি রোগ বিদ্যমান থাকে তাহলে সিজার করা হয়।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য বাধ্যবাধকতা হচ্ছে গর্ভবতী নারীর বয়স। যদি বয়স ৩৫ বছর এর বেশি কিংবা ১৬ বছরের কম হয় তাহলেও সিজার করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা যেটি সকল গর্ভবতী নারীদের জানা উচিত সেটি হলো গর্ভবতী নারীর যোনি যদি ছোট হয়ে থাকে সিজার করা হয়। বাচ্চার মাথা নিচের দিকে না থেকে যদি উপরের দিকে ঘুরে থাকে তাহলেও নরমাল ডেলিভারি না করিয়ে সিজার করানো হয়।

বাচ্চার মাথা নিচের দিকে না থেকে যদি উপরের দিকে থাকে তাহলে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চার ডেলিভারি করানো উত্তম। উপরোক্ত সকল সমস্যা যদি কোন গর্ভবতী নারীর হয়ে থাকে তাহলে নরমাল ডেলিভারি করানোর পরিবর্তে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি করানো হয়।

সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায়

যখন সন্তান প্রসবের জন্য গর্ভবতী নারীর পেট ও জরায়ুর আবরণ ছিদ্র করে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়, তখন তাকে সিজার বলে আখ্যায়িত করা হয়। অনেক গর্ভবতী নারীরা বিশেষ করে যাদের জীবনের প্রথম ডেলিভারি হবে তারা এ বিষয়টি নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকে। কারণ প্রত্যেক নারীর জীবনে ডেলিভারির সময়টি দুর্বিসহ একটি পরিস্থিতি। অনেকেই জানে না সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায় এবং সিজার কোন পরিস্থিতিতে করা হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুনঃ

সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায়ঃ
সর্বনিম্ন ২৮ সপ্তাহে সিজার করা যায়। তবে ২৮ সপ্তাহে সিজার করা হলে শিশুর জীবনের বিভিন্ন জটিলতা পার করতে হয়। তখন সেসব শিশুকে অকালপক্ক শিশু হিসাবে গণ্য করা হয়। তাদের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা থাকে যেমনঃ দুর্বল শারীরিক ও মানসিক অঙ্গভঙ্গি, শ্বাসযন্ত্রের ব্যাপক ত্রুটি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ইত্যাদি। এজন্য পরামর্শ দেওয়া হয় অপরিপক্ক শিশুদের অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহের নিচে কোন শিশুকে ডেলিভারি না করানো।

এজন্য অযথা সিজারের ব্যাপারে জটিলতা তৈরি করা যাবে না। স্বাভাবিকভাবে ৩৭ সপ্তাহ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে সিজার করা হয়। কারণ ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়ার শিশুকে অপরিপক্ক হিসাবে গণ্য করা হয়। কারণ 37 সপ্তাহের আগের জন্ম নেওয়া শিশুরা পরিপক্কতা লাভ করে না। তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। অর্থাৎ জন্ম গ্রহনকৃত শিশুর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ থেকে যায়।

বাচ্চার ওজন নির্ভর করে গর্ভবতী মায়ের শারীরিক অবস্থা ও খাদ্য তালিকার উপরে। গর্ভবতী মায়ের উচ্চতা যদি বেশি হয় এবং গর্ভবতী মা যদি স্বাস্থ্যবান হয়, তাহলে বাচ্চার ওজনও বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু গর্ভবতী মায়ের শরীর স্বাস্থ্য যদি রোগাপাতলা ও অপুষ্টিকার হয়ে থাকে, তাহলে বাচ্চার ওজন ও কম হয়ে থাকে। এজন্য যেসব গর্ভবতী মায়েরা শারীরিকভাবে রোগা পাতলা তাদের গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকার বিভিন্ন খাবার খেতে হবে। যার ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য দুইটাই ভালো থাকে।

বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিতঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে বাচ্চার ওজন ২.৫ - ৩ কেজি হওয়া উচিত। এটিকে আদর্শ বাচ্চার ওজন বলে বিবেচনা করা হয়। বাচ্চার ওজন ঠিক রয়েছে কিনা? তা পরীক্ষণ করা হয় জন্মের সময় বাচ্চার ওজন যত থাকে, জন্মের ঠিক ৩ মাস পরে যদি বাচ্চার ওজন দ্বিগুণ হয়ে যায় তাহলে সেই বাচ্চাকে স্বাভাবিক বলে আখ্যায়িত করা হয়।

শেষ কথাঃ বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ডাক্তারের মতামত

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ডাক্তারের মতামত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আজকে আমরা আপনাদের সাথে তিসির তেল নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি আজকের আমার এই পোষ্টটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজকের পোষ্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।