নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - নার্ভের সমস্যা হলে কি কি হয়

proudwin.com

1 Sep, 2023

প্রিয় পাঠক , আপনি কি নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - নার্ভের সমস্যা হলে কি কি হয় এই সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে আজকের এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য। তো চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক আমাদের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - নার্ভের সমস্যা হলে কি কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত।

আমার আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - নার্ভের সমস্যা হলে কি কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

বর্তমানে পরিস্থিতিতে প্রায় অধিকাংশ মানুষের এই নার্ভের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নার্ভের ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। অনেকে নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে কিছুই জানেনা ফলে তারা দুশ্চিন্তায় ভুগে। এজন্য আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমরা নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ ল্যাকটোজেন 1 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

নার্ভের সমস্যা যেহেতু একটি শারীরিক জটিলতা এজন্য এর সমাধানের জন্য একটি বা দুটি ঘরোয়া চিকিৎসা দ্বারা সমাধান করা সম্ভব নয়। যেহেতু নার্ভের পৃথক পৃথক সমস্যা হয়ে থাকে তাই নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে নার্ভের রোগের লক্ষণের উপরে প্রাধান্য দেওয়া। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া চিকিৎসা ও টোটকা বিস্তারিত।

যাদের বয়স ৪০ বছর থেকে ৪৫ বছর তারা যদি অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত থাকে, মাথার যন্ত্রণায় ভোগে, ডাবল ভিশন বা চোখের সমস্যা , স্নায়ুর দুর্বলতায় বা নার্ভের রোগের সমস্যায় ভোগে তাদের জন্য সবচেয়ে সেরা ঘরোয়া চিকিৎসা হলো চিনা বাদাম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সেবন করা। চিনা বাদাম বলতে বাদামওয়ালারা যে বাদাম বিক্রি করে সেই বাদাম।

এই চিনা বাদাম খোসা ছাড়ানোর পরে ১০ গ্রাম আলাদা করে পাত্রে রাখতে হবে। এবার এই পাত্রে সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। বাদামের গায়ে পানি লেগে থাকা অবস্থায় এটি পাটায় বেটে এর সাথে এক চামচ চিনি যোগ করতে হবে । এক চামচ চিনি যোগ করার পরে এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সপ্তাহে ২ বার সেবন করতে হবে

যাদের স্নায়ুবিক শক্তি বা নার্ভের সক্ষমতা অনেকটা কমে গিয়েছে হোক সেটা বয়সের কারনে , দীর্ঘদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে, ম্যালেরিয়ার কারণে নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য সবচেয়ে সেরা নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা হলো ভিঙ্গরাজ বা ভীমরাজ গাছ সেবন করা। এই ভিঙ্গরাজ বা ভিমরাজ গাছ সম্পূর্ণটি পাটায় বেটে সেবন করতে হয়।

ভিঙ্গরাজ বা ভীমরাজ সম্পূর্ণ গাছটি প্রথমে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে এটি পাটায় বেটে এর পেস্ট তৈরি করতে হবে। এইবার পেস্ট থেকে দুই চামচ রস আলাদা করে নিতে হবে। এবার এই দুই চামচ রস এর সাথে এক চামচ মধু মিশ্রণ করে সপ্তাহে তিন দিন সেবন করতে হবে। সেবন করা অবস্থায় যদি সমস্যা সেরে যায় তারপরেও এক মাস সেবন করতে হবে।

যাদের নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ একটু বেশি উদ্বিগ্ন বা উত্তেজিত হলে কথা বাধ্যপ্রাপ্ত হয়, কোন জিনিস শক্তভাবে চেপে ধরলে সমস্ত শরীর কাঁপতে থাকে, অল্প সময় বসে থাকলে পা ঝিমঝিম করে তাদের জন্য সবচেয়ে সেরা চিকিৎসা হল গোক্ষুর । এটি যে কোন ভেষজ আয়ুর্বেদ দোকানে আপনারা সহজে পেতে পারেন।

যেকোনো আয়ুর্বেদ দোকান থেকে এই গোক্ষুর ২৫০ গ্রাম কিনে এনে তা পাটায় বেটে পাউডারে পরিণত করতে হবে। দুপুরের আহারের সময় এক চামচ গোক্ষুর পাউডারের গুঁড়ো ও এর সাথে এক চামচ গাওয়া ঘি ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। এটি ভাতের খাওয়ার প্রথম দিকে খেতে হবে। এটি একটানা চার সপ্তাহ খেতে হবে।

যাদের বয়স বেশি বিশেষ করে যেসব মহিলাদের বয়স ৬০ উর্ধ্ব তাদের শরীর যদি অল্প পরিশ্রমে হাপিয়ে ওঠে, শরীরের প্রতি জয়েন্টে ব্যথা, গিরায় গিরায় ব্যথা রগে টান লাগা ও নার্ভের সমস্যায় ভুগলে তাদের জন্য চিকিৎসা হলো হিম। এটি যে কোন মুদি দোকানে পাওয়া যায়। হিম এর ১০০ গ্রামের দাম 50 টাকা।

হিম নার্ভের রোগের শ্রেষ্ঠ ঘরোয়া চিকিৎসা। যাদের নার্ভের সমস্যা রয়েছে তারা যদি এই হিম প্রতিদিন এক চিমটা বা ১০০ গ্রাম মুখে নিয়ে এর সাথে একটু পানি নিয়ে সেবন করে তাহলে অতি দ্রুত নার্ভের সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে সেবন করতে হবে প্রায় তিন সপ্তাহ। উপরোক্ত সকল বিধি-নিষেধ মেনে চললে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

নার্ভের সমস্যা হলে কি কি হয়

দূর থেকে পরিলক্ষিত করলে বোঝা যায় না এই ব্যক্তিটি নার্ভের রোগের সমস্যায় ভুগছে। চলনে বলনে, কলাকৌশলে কোন ত্রুটি নেই, শারীরিক শক্তি বিবেচনা করলেও কম নয় কিন্তু কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তিত হলে অথবা উদ্বিগ্ন হলে শরীর কাঁপতে থাকে, মুখের কথা বাধাপ্রাপ্ত হয়, কোন জিনিস শক্তি দিয়ে চেপে ধরলে সম্পূর্ণ শরীর কাঁপতে থাকে এগুলো সবই নার্ভের সমস্যার লক্ষণ বা স্নায়ুবিক দুর্বলতা লক্ষণ ।

কি খেলে নার্ভ ভালো থাকে

নার্ভ ভালো রাখার বিভিন্ন খাবার রয়েছে। যাদের নার্ভের সমস্যা তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাদ্যগুলো অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ গলার এলার্জি দূর করার উপায় - গলায় এলার্জির লক্ষণ

নার্ভ ভালো থাকে কালোজিরা, রসুন, মধু, সাদা তিল, আখরট, কাতিলা গাম, কাজুবাদাম, আজওয়া খেজুর, দুধ, ডিম, মাছের ডিম, সকল সামুদ্রিক মাছ বিশেষ করে চিংড়ি মাছ, হাতুড়ি মাছ, ফুলকপি, বাঁধাকপি সবুজ শাকসবজি, সবজি খিচুড়ি, কালো তিল, ড্রাগন ফল, স্ট্রবেরি, পালং, লাল শাক, পাটের শাক, ব্ল্যাকবেরি, চেরি ফল, বেদেনা আঙ্গুর ইত্যাদি খেলে নার্ভ ভালো থাকে।

নার্ভের ভিটামিন কি

নার্ভের সর্বশ্রেষ্ঠ ভিটামিন হলো নার্ভ ১২ ট্যাবলেট। এটি নার্ভের রোগের সমস্যায় সবচেয়ে কার্যকর একটি ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট এ ধাতু অ্যালকিন গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত মিথাইল রয়েছে যা শরীরকে লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। যার ফলে নার্ভের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এজন্য যাদের নার্ভের সমস্যা রয়েছে নার্ভ ১২ ট্যাবলেটটি খেতে হবে।

নার্ভের রোগের ব্যায়াম

নার্ভ রোগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যায়াম হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত আদায় করা। ইসলাম ধর্মে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রত্যেক মুসলমান নর ও নারীর উপরে ফরজ করা হয়েছে। যেহেতু ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম যা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত আদায় করলে নার্ভের রোগের সকল ব্যায়াম হয়ে যায়। এজন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত আদায় করলে নার্ভের রোগের সকল ব্যায়াম হয়ে যায় কারণ নামাজের মধ্যে যেসব অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করতে হয় যার ফলে শরীরে প্রায় প্রতিটি পেশির উপরে প্রভাব পরে। ফলে শরীর রিলাক্স অনুভব করে। আর যেহেতু নামাজ দিনে পাঁচ বার আদায় করতে হয় তাই নামাজ পড়লে অতিরিক্ত কোন ব্যায়াম করতে হবে না।

নার্ভের সমস্যা কেন হয়

বিভিন্ন কারণে নার্ভের সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে নার্ভের সমস্যার শুরু হয় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বছর পার হবার পরে। কারণ সে সময় শরীরের বিভিন্ন বিকাশিত হরমোন নিঃসৃত হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে প্রতিদিনের কাজ কর্মের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন বা প্রয়োজনীয় উপাদান শরীরের উৎপাদন হয় না। তাই নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়া যারা হাঁটাচলা কম করেন, নামাজ পড়েন না কায়িক পরিশ্রম কম করে, শরীরের অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন কম করে, রক্তস্বল্পতা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ না করা, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত, বিভিন্ন ধরনের বদ অভ্যাস, সকালে ঘুম থেকে না ওঠা ইত্যাদি এই সকল কারণে নার্ভের সমস্যা দেখা দিতে পারে। উপরোক্ত সকল কারণে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়।

নার্ভের রোগের লক্ষণ কি কি

নার্ভের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

শেষ কথাঃ নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - নার্ভের সমস্যা হলে কি কি হয়

নার্ভের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - নার্ভের সমস্যা হলে কি কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আশা করি আজকের আমার এই পোষ্টটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজকের পোষ্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।