ডি এন সি করার কতদিন পর মাসিক হয় । ডি এন সি করার কতদিন পর সহবাস করা যায়

Siam 😎

19 Dec, 2023

ডি এন সি করার কতদিন পর মাসিক হয় ও ডি এন সি করার কতদিন পর সহবাস করা যায় অনেকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টকেলে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। মাসিক এবং সহবাস একটি শারীরিক প্রক্রিয়া তাই এটি নিয়ে অনেকের বিভ্রান্তমূলক ধারনা রয়েছে।

এই বিষয়গুলো মানুষ হিসাবে প্রত্যেকর জানা উচিত কারণ জীবনের কোন এক সময় এগুলো জানার প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিবাহিত দম্পত্তিদের এই বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে তাদের বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়। তাই এই শারীরিক বিষয়গুলো আপনাদের এই আর্টিকেলে জানানোর চেষ্টা করবো যাতে আপনারা এসব শারীরিক বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

ডি এন সি করার কতদিন পর মাসিক হয়

ডি এন সি হল একটি প্রক্রিয়ার সংক্ষপ্ত রূপ। এর পূর্নরূপ হল (DIALATION AND CURETTAGE) অর্থাৎ ডায়ালেশন অ্যান্ড কিউরাটেজ। এই মাধ্যমটি অনেক ছোট ছোট কাজে ব্যবহার করা হয়। এই অপারেশনটি মূলত গর্ভাশয়ে করা হয়। গর্ভাশয় থেকে অপ্রয়োজনীয় টিস্যু বা পর্দাথ অপসারণের জন্য এই মাধ্যমটি ব্যবহার করা হয়।

গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ এর পরে ডি এন সি সার্জারি বেশি করা হয়ে থাকে। এছাড়া গর্ভপাতের পর অবশিষ্ট অংশ অপসারণ, গর্ভাশয়ের বিভিন্ন ধরনের কোষ ও টিস্যুর ক্ষতি পরীক্ষা করা, গর্ভাশয়ের সবচেয়ে মারাত্নক গর্ভাশয়ে কান্সার হয়েছে কিনা তা নির্ধারন করা, টিউমারসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীর বিভিন্ন কোষ বা টিস্যু অপসারণ করা ইত্যাদি।

এই মাধ্যমটি অনেক উপকারী এবং নিরাপদ বলে দাবি করেছে চিকিৎগণ করণ এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করলে শারীরিক কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণত ৩০ মিনিট থেকে চিকিৎসক ভেদে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা সময় লাগদে পারে। এটি করার পূর্বে যন্ত্রনার যাতে না হয় সেজন্য অ্যানেস্থেসিয়া ঔষধ দেওয়া হয়।

আমরা এতক্ষন জানলাম ডি এন সি কি সেই সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো ডি এন সি করার কতদিন পর মাসিক হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। যেহেতু অনেকে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছে তাই এই বিষয়ে যত প্রকার তথ্য রয়েছে সেই সকল তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

মাসিক হলো মেয়েদের শরীরবৃত্তীয় একটি প্রক্রিয়া। এটা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত এটি নিয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই। তবে যেসব মেয়েদের মাসিকের সমস্যা রয়েছে তারা অনেক সময় লজ্জার কারণে প্রকাশ করে না ফলে তাদের সমস্যার সমাধান হয় না। কিন্তু যদি এসব বিষয়ে কেউ লজ্জা করে তাহলে তার সমস্যা সমস্যাই থেকে যাবে। এজন্য এসব বিষয়ে লজ্জা না করে জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ noteron tablet খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় বিস্তারিত জানুন

ডি এন সি করার কতদিন মাসিক হয় তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে সেই মহিলাটির শারীরিক অবস্থার উপরে। মহিলাটি কত বয়স, কত ওজন এবং শারীরিক সক্ষমতার উপরে। এছাড়া আরো কয়েকটি বিষয়ের উপরে নির্ভর হয়ে থাকে যেমনঃ ডি এন সি কোন পদ্ধতিতে করা হয়েছে এবং ডি এন সি করার পরে রোগের শারীরিক অবস্থা কেমন। এই সকল বিষয়ের উপরে নির্ভর করে মাসিক হয়।

যাদের বয়স কম এবং শারীরিক সক্ষমতা বেশি তাদের ডি এন সি করার ১৪ দিন পর মাসিক হয়। আর যাদের বয়স বেশি এবং শারীরিক সক্ষমতা কম তাদের সর্বোচ্চ ৪২ দিন পর মাসিক হয়। এছাড়া ডি এন সি কোন পদ্ধতিতে করা হয়েছে তার উপরেও মাসিক এর প্রভাব রয়েছে। তাই একটি নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে আনুমানিক ধারণা হিসেবে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয় মূলত একটি হরমোনের কারণে। টেস্টোস্টেরন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। অনেক মাসিক হওয়ার জন্য বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে যেটা মেয়েদের টেস্টোস্টেরন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনকে উদযাপিত করে। ফলশ্রুতিতে যদি মাসিক বন্ধ হয় তা পুনরায় চালু হয়।

এছাড়া ডাক্তাররা অনেক সময় রোগীর বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ডি এন সি করতে নিষেধ করে থাকে। ডাক্তাররা যেসব কারণে নিষেধ করা তা হলঃ যদি গর্ভাবস্থায় থাকে, হৃদরোগ থাকে, অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা থাকে, রক্তসল্পতা থাকে, গর্ভাশয়ের সংক্রমন থাকে, গর্ভাশয় যদি অতিরিক্ত বড় থাকে, বয়স যদি ৪০ বছরের বেশি হয়, রোগীর যদি প্রেসারের সমস্যা থাকে।

এই সমস্যাগুলো থাকলে ডাক্তাররা ডি এন সি করতে নিষেধ করে থাকে। কারণ এই সমস্যাগুলো থাকলে ডি এন সি করলে পরে অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার যদি এই সমস্যাগুলো থাকে তাহলে অবশ্যই সাবধানতে অবলম্বন করবেন। এই রোগগুলো সমাধানের পরে আপনারা ডি এন সি করার প্রস্তুতি গ্রহন করবেন।

অনেকে আমার এই ওয়েবসাইটের তথ্য পরে মাসিক হওয়ানোর ঔষধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিন্তু এটি মোটেও উচিত হবে না। কারণ যে কোন ঔষধ সেবানের পূর্বে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে আমার ওয়েবসাইটে যে সকল তথ্য প্রদান করা হয়েছে সেগুলো আপনাদের ডি এন সি করার কতদিন পর মাসিক হয় এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ধারণা দিতে সাহায্য করবে।

ডি এন সি করার কতদিন পর সহবাস করা যায়

ডি এন সি যেহেতু একটি সার্জারি সেহেতু এটি করার পরে শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে আবার ভাগ্য ভালো হলে সমস্যা নাও দেখা দিতে পারে। ডাক্তাররা সাধারণত পরামর্শ নিতে থাকে যে আপনারা যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে ডি এন সি করার ১ সপ্তাহ পর অর্থাৎ ডি এন সি করার ৭ দিন পর থেকে সহবাস করতে পারেন। সোজা কথায় বললে ডি এন সি করার ৭ দিন পর সহবাস করা যায়।

সবার তো শারীরিক সক্ষমতা এক রকম না। অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি আবার অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। তাই আপনারা আপনাদের শারীরিক সক্ষমতা অনুসারে সহবাস করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। তবে সেটি অবশ্যই ৭ দিনের পরে হতে হবে। করণ এই ৭ দিনে জরায়ু থেকে সব টিস্যু বের হয় এবং রক্তপাতও বন্ধ হয়ে যায়।

তবে আমার মতে ডি এন সি করার পরে যদি আপনারা সহবাস করতে চান তাহলে আপনাদের আগে জানতে হবে ডি এন সি করার কতদিন পর মাসিক হয় এবং নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করা দরকার।

সহবাস করার পূর্বে একজন MBBS ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডি এন সি করার পর জরায়ুতে যেসব জীবাণু রয়েছে তা যেন স্বামীর দেহে প্রবেশ না করে সেজন্য কনডন ব্যবহার করা।
সহবাসের পরে যদি যোনিতে ব্যথা হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎকের পরামর্শ নেওয়া।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ডি এন সি করার কতদিন পর সহবাস করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত। আজকে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর পেতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারণ এই আর্টিকলে মেয়েদের এসব সকল সমসসার সমাধান দেওয়া হয়েছে। তাই যারা জানতে চান তারা শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয়

অনেক নারীরা রয়েছে যারা গর্ভপাত সম্পর্কে অজ্ঞাত। তারা এ বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগে। কারণ তারা জানে না গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয়। যে কোন বিষয়ে সম্পন্ন ধারণা না থাকলে দুশ্চিন্তা হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে যারা প্রথমবার গর্ভপাত করেছে তাদের জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ।

এজন্য গর্ভপাতের বিষয়টি প্রত্যেক নারীকে জেনে রাখা উচিত। কারণ নারীদের জীবনে একবার হলেও গর্ভধারণের বিষয়টি সক্রিয় হয়। এজন্য আগে থেকে যদি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে তাহলে গর্ভপাতের পরে তাদের দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না। এজন্য প্রত্যেক নারীকে গর্ভপাত সম্পূর্ণ ধারণা রাখা উচিত।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয় বা ডি এন সি করার কতদিন পর মাসিক হয় এই বিষয়ে বিস্তারিতঃ

আমাদের আগে জানতে হবে গর্ভপাত কি ? এবং কেন হয় ? । গর্ভপাতকে ইংরেজিতে মিসক্যারিজ বা এবরশন বলা হয়। গর্ভপাত বলতে বোঝানো হয় গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া। গর্ভপাত হলো গর্ভাবস্থার ২২ সপ্তাহ পার হবার আগে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া। যেটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে।

একটি নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন সেই নারী তার পরিবারের জন্য খুশির পাত্রী হয়ে যায়। সেই নারীর কারণে পরিবারে বয়ে আসে সুখ-শান্তির ছায়া। পরিবার উৎফুল্লে মেতে উঠে এবং নবাগত শিশুকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে থাকে। গর্ভধারণকৃত নারীর শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং বাবার বাড়ির লোকজন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখে।

এমন পরিস্থিতিতে গর্ভপাত হওয়া একটি মারাত্মক যন্ত্রণাদায়ক মানসিক ক্ষতি। যে ক্ষতির প্রধান প্রভাবক হয় গর্ভবতী নারী। গর্ভধারণকৃত অবস্থা ২২ সপ্তাহে পৌঁছানোর আগেই গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়াকে গর্ভপাত বলা হয়। এজন্য গর্ভাবস্থায় বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়।

আরো পড়ুনঃ ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না । ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে

গর্ভপাতের পর অনেকে নারী চায় নতুন ভাবে গর্ভধারণের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে গর্ভপাত সম্পর্কে সকল তথ্য। কারণ গর্ভধারণের জন্য মাসিকের গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত গর্ভপাতের ২৮ দিন থেকে ৪২ দিন পর মাসিক হয়। গর্ভপাতের ২৮ দিন থেকে ৪২ দিন পর মাসিক না হওয়া পর্যন্ত গর্ভধারণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা যাবে না।

কারণ গর্ভপাতের পর গর্ভপাতকৃত নারীর শরীর স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসতে কার্যকর হয়। এ সময় গর্ভপাতকৃত নারীকে কোন প্রকার শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। এ সময় শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করলে ভবিষ্যতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের সম্মুখীন হতে পারে। এজন্য গর্ভপাত হবার পরে মাসিক শুধু না হওয়া পর্যন্ত খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সাধারণত গর্ভপাতের ২৮ দিন থেকে ৪২ দিন পর মাসিক হয়। কিন্তু এটি সবার ক্ষেত্রে একই রকম সময় লাগে না। কারণ এটি সম্পূর্ণ নারীর শারীরিক ও মানসিক সামর্থের উপরে নির্ভর করে। একেক জনের একেক রকম সময় লাগে। গর্ভপাতের ২৮ থেকে ৪২ দিন এর মধ্যে মাসিক শুরু হয়ে গেলে মাসিকের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা প্যাড ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্যাডের পরিবর্তে কোন প্রকার ন্যাকড়া বা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। কারণ কাপড়ে অনেক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যার ফলে ইনফেকশনের প্রভাব দেখা যেতে পারে। যেহেতু গর্ভপাত একটি নারীর জীবনের কলঙ্কময় অধ্যায়। এজন্য এ সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা হয়

অনেক নারীর না বুঝে অনেক সময় বাচ্চা নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ফলে বাচ্চা নষ্ট করার পর তারা বিভিন্ন জটিলতা সম্মুখীন হয়। এজন্য প্রত্যেক নারীর উচিত বাচ্চা নষ্ট করার পূর্বে এর কি কি সমস্যা হয় তার জেনে রাখা। কিন্তু প্রায় অধিকাংশ নারী জানে না বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা হয় । ফলে তারা বাচ্চা নষ্ট করার পর বিভিন্ন জটিলতায় ভুগে।

রক্তক্ষরণ

বাচ্চা নষ্ট করার পর সর্বপ্রথম যে সমস্যাটি দেখা দেয় তা হলো রক্তক্ষরণ। বাচ্চা নষ্ট করার পরে নারীর শারীরিক অবস্থা অনুসারে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। রক্তক্ষরণ একেক নারীর ক্ষেত্রে একেক ধরনের হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে একটি ভীতিকর বিষয় হলো যেসব নারীর শরীরে রক্ত কম তাদের বাচ্চা নষ্ট করার পর রক্তক্ষরণ হলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।

কোমরের ব্যথা

দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো কোমরের ব্যথা। এটি ব্যাপক সমস্যাটি নারীর শরীরকে প্রভাবিত করে। যার ফলে নারীর জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ যন্ত্রণা সমৃদ্ধ ব্যথা। ফলে যে নারী বাচ্চা নষ্ট করেছে তার জীবনধারণ করতে ব্যাপক সমস্যা হয়। ফলে তার স্বাভাবিক জীবন পরিচালনা করতে বিভিন্ন সম্মুখীন হতে হয়। হাঁটাচলা থেকে শুরু করে কোন কাজ করতে পারে না।

রগে টান লাগা

তৃতীয় সমস্যাটি হলো রগে টান লাগা। বাচ্চা নষ্ট করার পরে অধিকাংশ নারীর এই সমস্যাটি দেখা যায়। এ সমস্যাটি হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যার ফলে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। রগে টান লাগার সমস্যা দূর করণের জন্য বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যায়াম রয়েছে। এজন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশিত শারীরিক ব্যায়াম প্রতিনিয়ত করতে হবে।

অনিয়মিত মাসিক

চতুর্থ সমস্যাটি হলো অনিয়মিত মাসিক। সন্তান নষ্ট করার পর অর্থাৎ গর্ভপাতের প্রায় ২৮ দিন থেকে ৪২ দিন পর মাসিক হয়। বাচ্চা নষ্ট করার পরে অনিয়মিত মাসিক শুরু হয় যেটি যে কোন নারীর জন্য হুমকি স্বরূপ। অনিয়মিত মাসিক হবার ফলে বাচ্চা নষ্ট করার পর নতুন ভাবে বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করতে সমস্যা হয়। এছাড়া বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।

গর্ভধারণের ঝুঁকিপূর্ণতা

চতুর্থ সমস্যাটি হলো নতুনভাবে গর্ভধারণের ঝুঁকিপূর্ণতা। অধিকাংশ নারী বাচ্চা নষ্ট করার পরে বা গর্ভপাতের পরে নতুনভাবে গর্ভধারণের ইচ্ছা প্রকাশ করে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সাথে যুদ্ধ করতে হয়। এজন্য অবশ্যই বাচ্চা নষ্ট করার পরে গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিয়মিত পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

শারীরিক ও মানসিক ভঙ্গুরতা

পঞ্চম সমস্যাটি হলো শারীরিক ও মানসিক ভঙ্গুরতা। বাচ্চা নষ্ট করার পর নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই দুর্বিষহ থাকে। মানসিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পরে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে ধাবিত হয়। এটি নারীর পরিবারের উপরেও প্রভাব ফেলে। সে সময় যে নারী বাচ্চা নষ্ট করেছে তাকে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দিকে ধাবিত করা যাবে না।

রক্তস্বল্পতার কারণে মৃত্যু

ষষ্ঠ সমস্যাটি হলো রক্তস্বল্পতার কারণে মৃত্যু। অনেক সময় বাচ্চা নষ্ট করার পরে নারীর দেহে রক্তস্বল্পতার কারণে নারীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কারণ রক্ত আমাদের শরীরে সব কিছু প্রযোজনা করে থাকে। রক্তের মাধ্যমে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এজন্য যদি রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।

গর্ভপাতের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যাবে

গর্ভপাতের পরে নতুন করে গর্ভধারণের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জানা উচিত গর্ভপাতের কত দিন পর ডিম্বানু বের হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে গর্ভপাতের ৯০ দিন পর ডিম্বানু বের হয়। অর্থাৎ গর্ভপাতের ৯০ দিন বা ৩ মাস পর ডিম্বানু বের হয়। গর্ভপাতের ৯০ দিন বা ৩ মাস পর বাচ্চা নেওয়া যাবে। তবে গর্ভপাতের ৩৬৫ দিন বা ১ বছর পর বাচ্চা নেওয়া উচিত।

যেহেতু গর্ভপাতের পরে গর্ভপাতকৃত নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়ে । এজন্য তখন কোন প্রকার শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রদান করা যাবে না। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে গর্ভপাতের ৯০ দিন বা ৩ মাস পর সহবাস করা যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন গর্ভপাতের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত।

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস সহবাস করা যাবে কি

অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের মতে গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস সহবাস করা যাবে। কারণ প্রথম তিন মাস অতিক্রম হওয়া পর্যন্ত শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয় না। তিন মাস অবস্থায় শিশুর চারিদিক দিয়ে জরায়ুর শক্ত পিসি আবরণ শিশুকে আবৃত করে রাখে। যার ফলশ্রুতিতে শিশুর কোন ক্ষতি হয় না।

এটি বিশ্বাস করে যারা প্রথমবার গর্ভধারণ করছে তাদের মনের প্রশ্ন। কারণ সহবাস একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। যারা নতুন নতুন দম্পতি হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি আরো গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। তাদের মনের প্রশ্ন থাকে গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস সহবাস করা যাবে কি। তাদের জন্য খুশির সংবাদ হল গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস সহবাস করা যাবে।

অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে স্বাভাবিকের তুলনায় গর্ভাবস্থায় যখন তিন মাস চলে তখন মেয়েদের যৌন আকাঙ্ক্ষা আরো উদ্দীপিত অবস্থায় থাকে। যার ফলে মেয়েরা ঘন ঘন সহবাসে লিপ্ত হতে ইচ্ছা করে। কারণ তখন ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন উদ্দীপিত অবস্থায় থাকে। এজন্য অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস সহবাস করা যাবে কি।

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস চলাকালীন অবস্থায় সহবাস করলে জটিল রক্তপাত হয় তাহলে অবশ্যই সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এরকম অবস্থা সৃষ্টি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের দ্রুত পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অনেক সময় দেখা যায় পর্দা ফেটে যায় সে ক্ষেত্রেও রক্তপাত হতে পারে। মূল কথা হলো সব সময় সচেতন অবস্থায় চলাফেরা করতে হবে।

৬ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস

ছয় মাসের কর্মকর্তব্য অবস্থায় সহবাস করার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ছয় মাস গরম অবস্থায় বাচ্চার গ্রহণের গঠন প্রায় পরিপূর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়। সে ক্ষেত্রে ভুল পদ্ধতিতে সহবাস করলে বাচ্চার দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে এমনকি বাচ্চা নষ্ট হতে পারে। ছয় মাসের গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস সম্পর্কে বিস্তারিত।

ছয় মাসের গর্ভবত অবস্থায় সহবাস করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম গুরুত্ব দিতে হবে স্ত্রীর চাহিদাকে। স্ত্রীর চাহিদার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সহবাসের প্রভাবিত করে। কারণ সে সময় নারীদের বিভিন্ন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। সে ক্ষেত্রে মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হয়। এজন্য যদি চাহিদা না থাকে তাহলে কখনো জোর করে সহবাস করা যাবে না।

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

গর্ভাবস্থায় নারীরা সাধারণ শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। যেসব নারীরা জীবনের প্রথম গর্ভধারণ করেছে তাদের যদি গর্ভপাত হয় সেক্ষেত্রে তাদের ঝুকির কারণ আরো বেশি। কারণ নারীদের জীবনে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত হলো গর্ভধারণকৃত অবস্থা । এই সময় যদি কোন অঘটন ঘটে তাহলে, তারা সাময়িক শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার উপরে বিশেষ নজর দিতে হবে। পুষ্টিকর বিভিন্ন শাকসবজি, শুকনো ফল, দুধ, ডিম, ভিটামিন ডি, মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বেশি বেশি খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় সকল ধরনের ভারী ও চাপযুক্ত সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। সংসারে বিভিন্ন কাজ যেমনঃ কাপড়-চোপড় ধোয়া, থালা-বাসন মাজা ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় তার পরিবারকে। কারণ গর্ভাবস্থায় নারীদের শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য একেবারেই দুর্বল থাকে। এজন্য পরিবারের সাপোর্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের যারা অন্যান্য সদস্য রয়েছে তাদের উচিত সবসময় গর্ভপাতকৃত নারীর সাথে থাকা এবং তাদের জীবনকে সহজ-সরল ভাবে গঠন করা। তাদের সবসময় আনন্দ উৎফুল্ল রাখা।

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে এই সম্পর্কে বিশেষ করে যাদের জীবনের প্রথম গর্ভধারণ অবস্থা তাদের মনের প্রশ্ন এটি। গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায় এর সঠিক উত্তরটি হল গর্ভবতী হওয়ার ৯ দিন পর সহবাস করা যায়। এছাড়া চিকিৎসকদের এ বিষয়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য বিদ্যমান।

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায় আসলে এই প্রশ্নটির উত্তর বিভিন্নভাবে দেওয়া যেতে পারে। এটি সম্পূর্ণ নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। কারণ গর্ভবতী হওয়ার পরে নারীর শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হওয়ার পিছনে বিভিন্ন হরমোন কাজ করে থাকে। মূল কার্যকর জিনিস হল হরমোন।

মাসিকের কতদিন পর গর্ভধারণ হয়

অনেক নারীরা আছে যারা মাসিকের কত দিন পর গর্ভধারণ হয় এ বিষয়ে অজ্ঞাত। ফলে তারা এটি নিয়ে বিভিন্ন সময় দুশ্চিন্তা করে থাকে। দুশ্চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক কারণ কোন বিষয় জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে দুশ্চিন্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সেসব নারীদের সুবিধার্থে আমরা আজকে আলোচনা করব মাসিকের কত দিন পর গর্ভধারণ হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত।

মাসিকের দশ দিন পর গর্ভধারণ হয়। অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ এর মতে মাসিকের শেষ হওয়ার দশ দিন থেকে প্রায় ২০ দিনের মধ্যবর্তী সময়ে সহবাস করলে গর্ভধারণ হয়। কারণ মাসিক শেষ হওয়ার ১০ থেকে ২০ দিন মধ্যবর্তী সময়ে সকল ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়। নারীর গর্ভধারণের জন্য মাসিকের দিকে ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ orgatril খেলে কত দিন পর মাসিক হয় বিস্তারিত জানুন

এছাড়া মাসিক শেষ হওয়ার প্রথম দিকে পপুলেশন হচ্ছে কিনা সে দিকে নজর দিতে হবে‌।এছাড়া যারা গর্ভধারণ হতে ইচ্ছু ক তারা ইচ্ছা করলে ওভুলেশন কীটের সাহায্য নিতে পারে। এছাড়া আরো কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে যেমন নারীর শরীরের তাপমাত্রা কেমন রয়েছে, যোনি থেকে কোন নির্গত হচ্ছে কিনা ইত্যাদি। তাহলে মাসিকের মাসিকের ১০ থেকে ২০ দিন পর গর্ভধারণ হয়।

এছাড়া আরো কিছু নির্দিষ্ট বিষয় রয়েছে যেগুলোতে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে। ওসব সকল বিষয়ে মনোযোগ দিলেই মাসিকের ১০ দিন পর গর্ভধারণ হয়। এছাড়া আরো কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে যেগুলো পূর্ণাঙ্গ রূপে পালন না করলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এজন্য সবকিছু নির্ভুলভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা উচিত

মাসিকের ৯ দিন পর সহবাস করা উচিত। চিকিৎসাবিজ্ঞান মতে মাসিকের ১০ তম দিন থেকে ২০ তম দিনের মাঝামাঝি সময়ে সহবাস করলে গর্ভধারণ দ্রুত হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে এটি নির্ধারণ করা হয়। তবে এটি নারীর শারীরিক পরিস্থিতির উপরে সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। প্রত্যেক নারীর সক্ষমতা অনুসারে তাদের সহবাসের দিন নির্ধারিত হয়।

সহবাসের কতদিন পর বমি বমি হয়

সহবাসের ৬০ দিন পর ও বমি বমি হয়। কারণ সহবাসের ৬০ দিন পর থেকে ব্রণের গঠন তৈরি হওয়া শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতে নারী দেহে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। যার একটি নমুনা হলো বমি বমি হওয়া। বমি বমি হলে মনে করতে হবে সেই নারীটি গর্ভবতী হয়েছে। গর্ভধারণের প্রথম অবস্থায় এরকম আরো বিভিন্ন নমুনা দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা

ডি এন সি করার কতদিন পর মাসিক হয়, ডি এন সি করার কতদিন পর সহবাস করা যায়, সহবাসের কতদিন পর বমি বমি হয়, মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা উচিত, মাসিকের কতদিন পর গর্ভধারণ হয়, গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়, ৬ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস, গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস সহবাস করা যাবে কি, বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা হয়, গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয় এসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছ।

স্বাস্থ্য