কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয় । বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ জানুন

প্রিয় পাঠক , আপনি কি কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয় এবং বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে আজকের এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য। তো চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক আমাদের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় কৃমির সকল সমস্যা এবং সামাধান নিয়ে বিস্তারিত।

আগে কৃমি নিয়ে মানুষের অনেক দুর্ভোগ ছিলো কিন্তু বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের সরকার এই কৃমির ঔষধ প্রতিবছর বিনামূল্যে বিতরণ করে থাকে। এজন্য আমাদের প্রজন্মের মানুষদের এই কৃমির জন্য আর এতো কষ্ট করতে হয় না। আমাদের পূর্ব পুরুষদের এই সামান্য কৃমির জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে কারণ সেসময় এতো উন্নত ঔষধ ছিল না।

না, কৃমির ট্যাবলেট চুষে খাওয়া উচিত নয়। কারণ কৃমিনাশক ট্যাবলেট সাধারণত বড়, শক্ত এবং তেতো হয়। এগুলি খাওয়ার ফলে মুখে তিক্ত স্বাদ হতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। তাই কৃমিনাশক ট্যাবলেট ভালো করে চিবিয়ে বা পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে। আমাদের বাংলাদেশে কৃমির অনেক ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলো অনেক কার্যকারী ভূমিকা পালক করতে সক্ষম।

বাংলাদেশে ভারমিসিড, সোলাস, মেবেন্ডাজল, অ্যালবেন্ডাজল ইত্যাদি কৃমিনাশক ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে কৃমির জন্য সবচেয়ে কার্যকারী ট্যাবলেট হল সোলাস। কৃমি থেকে মুক্তি পেতে নির্দেশ অনুসারে এই বড়িগুলি নিন। কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাবার পূর্বে আপনার হাত ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর খালি পেটে কৃমির ট্যাবলেটটি সেবন করুন এবং কৃমির ট্যাবলেট সেবনের পরে বিশ্রাম করুন।

কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে কৃমির ট্যাবলেট সোলাস পানি দিয়ে খেতে হবে। সোলাস ট্যাবলেট কখনো চুষে চুষে খাওয়া যাবে না। যেহেতু সোলাস ট্যাবলেট এর মধ্যে বিভিন্ন রকম কৃমিনাশক উপাদান রয়েছে। সোলার ট্যাবলেট পানি দিয়ে না খেলে এর মধ্যে কৃমিনাশক যেসব উপাদান রয়েছে সেগুলো কার্যকর ভাবে কাজ করতে পারে না।

কৃমির জন্য সোলাস ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হলো ডোজ অনুসারে সেবন করা। এই কৃমিনাশক সোলাস ট্যাবলেট সাত দিন অন্তর অন্তর খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞান পরীক্ষনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে কৃমি আমাদের শরীর থেকে প্রতিদিন প্রায় 2 মিলিমিটার রক্ত শোষণ করতে সক্ষম। এজন্য এটি আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

সোলাস ট্যাবলেট খেলে আমাদের শরীরে জন্মানো কৃমিকে নিঃশেষ করে ফেলতে পারে। আপনার শরীরে যদি কৃমি হয় আর আপনি যদি সোলাস ট্যাবলেট না খেয়ে থাকেন তাহলে অচিরেই আপনার রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এজন্য সোলাস ট্যাবলেট খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে যার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ম হল সোলাস ট্যাবলেট খালি পেটে পানি দিয়ে খাওয়া।

সোলাস ট্যাবলেট ১ সপ্তাহ বা ১৪ দিন এর ডোজ গ্রহণ করতে পারেন। তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্য। যেহেতু কৃমি আমাদের শরীরে খুব ছোট ছোট অবস্থায় বিরাজ করে এজন্য একে নিঃশেষ করার জন্য আমাদের প্রতিদিন ট্যাবলেট খেতে হবে। তাই আপনারা এই বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করবেন।

যারা কৃমি রোগে ভুগছেন তারা যদি সোলাস ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়মে খেয়ে থাকেন তাহলে অচিরেই আপনারা কৃমির রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। অনেকে এ বিষয়টি নিয়ে অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে থাকে। কারণ তারা সোলাস ট্যাবলেট সম্পর্কে কিছুই জানে না। এজন্য সবার এটি জেনে রাখা উচিত। এজন্য আমাদের জনসচেতনতা তৈরী করতে হবে।

যেহেতু আপনারা জেনেছেন কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয় নাকি পানি দিয়ে খেয়ে হয় সেসম্পর্কে সেহেতু আপনারা এই নিয়মটি অবশ্যই অনুসরণ করবেন এবং আপনাদের এলাকা বা পাড়া প্রতিবেশীদের যদি কৃমি রোগ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সোলাস ট্যাবলের খাওয়ার পরামর্শ দিবেন। আশা করি উপরোক্ত সকল তথ্য আপনাদের উপকারে আসবে।

কৃমির ট্যাবলেট সোলাস ১০০ খাওয়ার নিয়ম

কৃমির সোলাস ট্যাবলেট এর কাজ

শিশুদের সোলাস ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আবার অনেক প্রশ্ন করে যে শিশুদের জন্য কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয় ? তাই সবার উদ্দেশে বলে রাখি যে আপনারা সবসময় কৃমির ট্যাবলেট পানি দেয়ে খালি পেটে খাবেন।

সোলাস ট্যাবলেট খাওয়ার আগে না পরে

সোলাস ট্যাবলেট এর দাম