মৃগী রোগের ঔষধের নাম । মৃগী রোগের ইসলামি চিকিৎসা a to z

Siam 😎

24 Dec, 2023

আমরা অনেক সময় দেখি রাস্তার মধ্যে কিংবা কোন স্থানে কোন ব্যক্তি হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার পরে খিঁচুনি দিচ্ছে, তার সমস্ত শরীর কাঁপাকাঁপি করছে অথবা সেই ব্যক্তিটি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। এ ধরনের উপসর্গ সমৃদ্ধ রোগের নাম হল মৃগী রোগ। আজকে আমরা মৃগী রোগের ঔষধের নাম ও মৃগী রোগের ইসলামি চিকিৎসা সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করব।

এ ধরনের মানুষদের দেখলে অনেক কষ্টই লাগে। তারা যখন অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায় তখন তাদের কোন জ্ঞান থাকে না। অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় তারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তাদের শরীর থেকে রক্তপাত হয়। হঠাৎ করে মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ দেখা দেয় এবং সেখানে যদি মুরুব্বি থাকে তাহলে তারা বলে মৃগী রোগীদের চামড়ার স্যান্ডেল এর গন্ধ নাকে দিলে তাদের উপসর্গ কমে যায়।

মৃগী রোগ কেন হয়

মৃগী রোগ হলো মূলত মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিষ্কের বিকৃতির কারণে সাধারণত এই ধরনের রোগ হয়ে থাকে। আমাদের মস্তিষ্কে কোটি কোটি নিউরন রয়েছে। এই নিউরনের মাধ্যমে সংকেত আদান প্রদান হয়। একটি নিউরন থেকে আরেকটি নিউরনের সংযোগস্থল তৈরির মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কে সকল তথ্য পৌঁছায়। কিন্তু এই নিউরনের সংযোগস্থলের সমস্যার কারণে মৃগী রোগ হয়।

যখন একটি নিউরন থেকে আরেকটি নিউরনে সংযোগ থাকে না অর্থাৎ যখন তথ্য একটি নিউরন থেকে আরেকটি নিউরনে যেতে পারে না তখন আমাদের মস্তিষ্ক সেই অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে না। মস্তিষ্কের মাধ্যমে আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিচালিত হয়। আমাদের শরীরের যে কোন অংশ নাড়াচাড়ার জন্য মস্তিষ্ক থেকে সংকেত পাঠানো হয়।

কিন্তু যখন এই নিউরনের সমস্যা হয় তখন আমাদের মস্তিষ্ক এই সংকেত পাঠাতে ব্যর্থ হয়। হলে তখন আমাদের শরীর আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ যেমনঃ খিচুনি, মাটিতে শুয়ে পড়া, আচরণগত পরিবর্তন ইত্যাদি পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ আমাদের ব্রেন বুঝতেও পারে না আমাদের শরীরের কোন অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ কি করছে।

আরো পড়ুনঃ ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না । ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে

এটি মূলত আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কাজের ব্যাঘাতের কারণে হয়ে থাকে। আমাদের ত্বকের নিচে স্নায়ুতন্ত্র নামক এক ধরনের অঙ্গানু রয়েছে যার কারণে আমরা বিভিন্ন অনুভূতি অনুভব করতে পারি। যখন এই নিজের রোগ এর উপসর্গ প্রকাশিত হতে থাকে তখন আমাদের এই স্নায়ুতন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়ে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন মৃগী রোগ কি এবং কেন হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত।

মৃগীরোগের কারণ

বিভিন্ন কারণে এই মৃগী রোগটি হতে পারে। যদিও এ রোগের নির্দিষ্ট কোন কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি তবে চিকিৎসকরা সম্ভাব্য কিছু কারণ একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রকাশিত করেছে। সেখানে স্পষ্টভাবে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছে এই কারণগুলোর কারণেই মূলত মৃগী রোগ হয়ে থাকে।

সেখানে বলা হয়েছে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত মাদক দ্রব্য গ্রহণ, মস্তিষ্কের সংক্রমণ, অতীত কোন মস্তিষ্কের আঘাত, জিনগত পরিবর্তন, মস্তিষ্কের নিউরনের সংযোগস্থলে সমস্যা, জন্মগত ত্রুটি বা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সমস্যা ইত্যাদি কারণে মৃগী রোগ হতে পারে। এছাড়া যদি পূর্ববর্তী বংশধরদের মধ্যে কারো মৃগী রোগ থেকে থাকে তাহলে এই কারণেও ভবিষ্যৎ বংশধরদের নিয়োগী রোগ হতে পারে।

মৃগী রোগের প্রাথমিক লক্ষণ

যদি কেউ মাথা ঘুরে পড়ে যায় এবং খিচুরি দেয় তাহলে অনেকে মনে করে তারে মৃগী রোগ হয়েছে। কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ শুধুমাত্র শরীর খিচুনি দিলেই সেই ব্যক্তিকে মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে না। এজন্য আমাদের আগে মৃগী রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখতে হবে। মৃগী রোগের লক্ষণ ব্যক্তি পেতে ভিন্নতা রয়েছে।

খিচুনি

মৃগী রোগের সব থেকে সাধারণ এবং প্রথম লক্ষণ হলো খিচুনি। কোন ব্যক্তি যে মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছে তা সাধারণত নির্ধারণ করা হয় খিচুনির উপসর্গ দেখে। খিচুনির স্থায়িত্বের পার্থক্য রয়েছে এটি কয়েক সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আমরা পথে ঘাটে অনেক সময় মৃগী রোগীদের খিচুনি দেওয়া দেখে থাকি। এটি হাতে, পায়ে, মাথায় যেকোন স্থানে হতে পারে।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা খিচুনি দেওয়ার পরে তৎক্ষণাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়। এটি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া মৃগী রোগের একটি উপসর্গ বা লক্ষণ।

আচরণগত পরিবর্তন

মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির আচরণ হঠাৎ করে পরিবর্তন হতে পারে। যদি দেখেন কোন ব্যক্তি হঠাৎ করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে, অস্থিরতা অনুভব করছে, বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে তাহলে ধরে নিবেন সেই ব্যক্তিটি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কারণ উপরোক্ত সকল উপসর্গই মৃগী রোগের আচরণগত পরিবর্তনের অন্তর্ভুক্ত।

মৃগী রোগ কি ভাল হয়?

অবশ্যই মৃগী রোগ ভালো হয় যদি সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। মৃগী রোগের যেসব উপসর্গ রয়েছে সেগুলো মূলত সংযোগস্থলের শর্ট সার্কিটের কারণে হয়ে থাকে। নিয়ম অনুসারে জীবন যাপন, সঠিক চিকিৎসা এবং উপযুক্ত ডাক্তারের সাহায্যে এই মৃগী রোগ ভালো করা সম্ভব। আগে মৃগী রোগ নিয়ে এত গবেষণা ছিল না যার ফলে এই রোগের কার্যকরী কোন ঔষধও ছিল না।

মৃগী রোগের যেসব কারণ রয়েছে সেই কারণগুলো আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সনাক্ত করে আগে সেই রোগগুলোর চিকিৎসা করতে হবে। মৃগী রোগের অনেক কারণ আমাদের আর্টিকেলের উপরের দিকে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে যাতে খিচুনির সময় তার শরীর আঘাতপ্রাপ্ত না হয় এবং রক্তপাত না হয়।

আরো পড়ুনঃ ল্যাকটোজেন 1 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আরো কিছু বিষয় নির্ধারণ করতে হবে যাতে মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি পুষ্টিকর খাবার পায়, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ পায়। এগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি অবশ্যই সুস্থতা লাভ করতে পারবে। এজন্য আমাদের সরকারের কাছে আমাদের এই বিষয়ে অবশ্যই সাহায্যের জন্য আবেদন করতে হবে।

যেহেতু আমাদের মস্তিষ্কের নিউরনের সংযোগস্থলে ত্রুটির কারণেই এই মৃগী রোগ হয়ে থাকে এজন্য সব থেকে ভালো হয় যদি একজন অভিজ্ঞ নিউরোলজিস্ট এর কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়। তিনি অবশ্যই মৃগী রোগীকে সর্বোচ্চ এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হবেন। কারণ তিনি পড়াশুনাই করেছেন মস্তিষ্কের নিউরন বিষয়ে।

মৃগী রোগের ঔষধের নাম

আগে মৃগী রোগ নিয়ে এত গবেষণা ছিল না ফলে মৃগী রোগের জন্য কার্যকরী কোন ঔষধ বাংলাদেশ ছিল না। ফলে আগের যুগে যারা মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল তাদের জীবন এই ভাবে পার হয়ে যেত। অর্থাৎ তারা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন-যাপন করতে পারত না। যেটা হয়তো তাদের ভাগ্য ছিল। তারা পৃথিবীর কোন আনন্দ উপভোগ করতে পারত না।

কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান আধুনিক হওয়ার কারণে এই রোগ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে এবং এই রোগের কার্যকারী ঔষধ আবিষ্কৃত হয়েছে। যার ফলে মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি এই ঔষধ গুলো সেবন করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে তাহলে অবশ্যই তার মৃগী রোগ সেরে যাবে। চিকিৎসকরা একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যেসব মৃগী রোগী মৃগী রোগের ঔষধ সেবন করে তাদের ১০০ জনের মধ্যে ৭০ জনই সুস্থ হয়েছে।

তাহলে বুঝতেই পারছেন আজকে আপনাদের যেসব মৃগী রোগের ওষুধের নাম বলবো সেগুলো কতটুকু কার্যকর। এজন্য আমাদের অনেকে নিউরোলজিস্টদের জিজ্ঞেস করে মৃগী রোগের ঔষধের নাম কি। কিন্তু এই ওষুধগুলো খাওয়ার পূর্বে আপনারা অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন এবং তাদের নির্দেশ অনুসারে ওষুধগুলো সেবন করবেন।

কারণ আজকের এই আর্টিকেলে যেসব মৃগী রোগের ঔষধের নাম উল্লেখ করবো সেগুলো অত্যাধিক ক্ষমতা সম্পন্ন। এ কারণে এসব ঔষধের বেশ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এজন্য আপনারা ভুলেও এই ওষুধগুলো চিকিৎসকের নির্দেশনা ব্যতীত সেবন করবেন না। চিকিৎসকের নির্দেশনা ব্যতীত সেবন করলে ভবিষ্যতে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের সম্মুখীন হতে পারেন।

মৃগী রোগের ঔষধের নাম

ভিগাবাট্রিন (Vigabatrin)
কার্বামাজেপিন (Carbamazepine)
ল্যামোট্রিজিন (Lamotrigine)
ফোলেটিক অ্যাসিড (Folic acid)
টোপিরামেট (Topiramate)
লেভেটিরাসিটাম (Levetiracetam)
ওক্সকার্বামাজেপিন (Oxcarbazepine)
কনভালসিন (Valproate)

উপরে যেসব মৃগী রোগের ঔষধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো সবই চিকিৎসক কর্তৃক নির্দেশিত। অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ ও মৃগী রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক ওজন, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ধারণ করে উপরোক্ত ওষুধগুলো সেবানের নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এজন্য ভুলেও এই ওষুধগুলো চিকিৎসকের নির্দেশনা ব্যতীত সেবন করা যাবে না।

মৃগী রোগের ঔষধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিদ্যমান। মৃগী রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হলঃ ওজন বৃদ্ধি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, অস্থিরতা, ঘুমঘুমভাব, মনোযোগের সমস্যা, দুর্বলতা ইত্যাদি। সর্বশেষ কথা হল আপনার আত্মীয়-স্বজন বা চেনা পরিচিত কোন ব্যক্তির যদি এই রোগটি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা তাকে অবহেলা না করে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে সহায়তা করুন।

মৃগী রোগের ব্যায়াম

মৃগী রোগের বেশ কিছু কার্যকর ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে করালে সেই ব্যক্তি অতি দ্রুত সুস্থতা লাভ করতে সক্ষম। অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ সবসময় বলেন যাদের মৃগী রোগ রয়েছে তারা যেন প্রতিনিয়ত হাঁটাচলা করে, যোগ ব্যায়াম করে, তারা যেন প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সাঁতার কাটে।

মৃগী রোগের ডাক্তার

মৃগী রোগ যেহেতু নিউরনের কারণে হয়ে থাকে এজন্য যারা নিউরন বিষয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তারি ডিগ্রী অর্জন করেছে এবং মৃগী রোগের চিকিৎসা করে থাকে তাদের সাধারণত নিউরোলজিস্ট হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। অনেকে মৃগী রোগের ডাক্তারদের নাম এবং ঠিকানা চেয়ে থাকে। তাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের জনপ্রিয় মৃগী রোগের ডাক্তার এর নাম উল্লেখ করা হলোঃ

ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, এমবিবিএস, এমডি (নিউরোলজি)

ডা. আব্দুল বারী, এমবিবিএস, এমডি (নিউরোলজি), এমআরসিপি (ইউকে)

ডা. মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, এমবিবিএস, এমডি (নিউরোলজি)

ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, এমবিবিএস, এমডি (নিউরোলজি), এফসিপিএস (নিউরোলজি)

ডা. আব্দুল মান্নান, এমবিবিএস, এমডি (নিউরোলজি), এমআরসিপি (ইউকে)

এছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ নিউরোলজিস্ট এর নাম ও ঠিকানা খুঁজে পেতে পারেন। আপনার নিকটস্থ নিউরোলজিস্টকে খুঁজে পেতে ভিজিট করুন https://www.bmdc.org.bd/

মৃগী রোগের ইসলামি চিকিৎসা

ইসলাম এমন একটি ধর্ম যে ধর্মে পৃথিবীর সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে। মৃগী রোগের যেমন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের চিকিৎসা রয়েছে ঠিক তেমনি মৃগী রোগের ইসলামি চিকিৎসা রয়েছে। যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে তারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে মৃগী রোগের ইসলামি চিকিৎসা কি। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে বিস্তারিত।

মৃগী রোগ যেহেতু স্নেহতন্ত্রের ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে তাহলে বোঝাই যাচ্ছে এটি মূলত মস্তিষ্কে সংকেত না পাবার কারণে হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে মানুষের আত্মবিশ্বাসের উপরে মানুষের শারীরিক শক্তি এবং সামর্থ্য নির্ভর করে। এজন্য ইসলাম ধর্মে মৃগী রোগের ইসলামি চিকিৎসা করার জন্য বেশ কিছু আমল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মৃগী রোগের ইসলামিক চিকিৎসা করার জন্য নিম্নোক্ত আমলগুলো করার নির্দেশনা দেয় অভিজ্ঞ আলেমরা। সেই আমলগুলো হলঃ

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত অর্থাৎ আমরা যেটাকে আয়াতুল কুরসি বলি সেটা পাঠ করা।
সুরা ফাতেহা সহ সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করা।
পরিশেষে আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং তার নিকট থেকে সাহায্য প্রদানের প্রার্থনা করা।

মৃগী রোগের ইসলামিক চিকিৎসা অত্যাধিক কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এই চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে অবশ্যই নিউরোলজিস্টকে দেখানো উচিত বলে আমি মনে করি।

আজকের এই আর্টিকেলে মৃগী রোগ কেন হয়, মৃগী রোগের প্রাথমিক লক্ষণ, মৃগী রোগের ঔষধের নাম, মৃগী রোগের ব্যায়াম, মৃগী রোগের ডাক্তার, মৃগী রোগের ইসলামি চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন। আবার দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে ততক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।