গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয় । গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়

Siam 😎

11 Jan, 2024

প্রিয় পাঠক , আপনি কি গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয় এই সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে আজকের এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য। তো চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক আমাদের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় গর্ভপাত সম্পর্কে বিস্তারিত।

আমার আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।

গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয়

অনেক গর্ভপাতকৃত নারী রয়েছে যারা জানে না গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বানু বের হয়। ফলে তারা দুশ্চিন্তায় ভুগে। কারণ কোন বিষয়ে যদি পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকে তাহলে সে বিষয়ে দুশ্চিন্তা হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বানু বের হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিনঃ

গর্ভপাতের পরে নতুন করে গর্ভধারণের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জানা উচিত গর্ভপাতের কত দিন পর ডিম্বানু বের হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে গর্ভপাতের ৯০ দিন পর ডিম্বানু বের হয়। অর্থাৎ গর্ভপাতের ৯০ দিন বা ৩ মাস পর ডিম্বানু বের হয়। গর্ভপাতের পরে নতুনভাবে গর্ভধারণের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ৩ মাস অপেক্ষা করতে হয়।

কারণ শারীরিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া যেমন শরীর থেকে ডিম্বাণু বের হওয়া এবং নতুন করে শুক্রাণু গ্রহণ করার হরমন সক্রিয় হতে ৩ মাস অর্থাৎ ৯০ দিন সময় লাগে। এই নির্দিষ্ট সময় পরে নারীদের স্বাভাবিক মাসিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। এছাড়া গর্ভপাতের পর সহবাসের নির্দিষ্ট কোন নিয়মাবলী নেই। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এ সময়ে গর্ভপাতকৃত নারীকে কোন প্রকার চাপ দেওয়া যাবে না।

শারীরিক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য ফলিক এসিড সমৃদ্ধ ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। যেটি সেবনের পূর্বে অবশ্যই গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক। যদি ৩ মাস বা ৯০ দিন পরেও শারীরিক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে না আসে সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

গর্ভপাতের পরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যদি নেগেটিভ ফলাফল আসে তাহলে সেক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন, সুগার ও থাইরয়েড পরীক্ষা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে গর্ভপাতের ৩ মাস অর্থাৎ ৯০ দিন পরে নতুন করে গর্ভধারণের ইচ্ছা পোষণ করলে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবার এবং ঔষধ সেবন করা বাধ্যতামূলক।

সেক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাদ্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। নিয়ম অনুসারে জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। নিয়ম অনুসারে জীবন যাপন বলতে প্রতিদিন হাঁটাচলা করা এবং চিকিৎসক নির্দেশিত নির্দিষ্ট শারীরিক কসরত করা। উপরোক্ত সকল তথ্য সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে। তো আশা করছি গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।

গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়

গর্ভপাতের পর ১৪ দিন রক্তপাত হয় । অনেক নারীরা রয়েছে যারা গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় এ সম্পর্কে অজ্ঞাত। তারা এ বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগে। কারণ তারা জানে না গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়। যে কোন বিষয়ে সম্পন্ন ধারণা না থাকলে দুশ্চিন্তা হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে যারা প্রথমবার গর্ভপাত করেছে তাদের জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ। অর্থাৎ গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় এটা অনেকে দুশ্চিন্তা করে থাকে।

এজন্য গর্ভপাতের বিষয়টি প্রত্যেক নারীকে জেনে রাখা উচিত। কারণ নারীদের জীবনে একবার হলেও গর্ভধারণের বিষয়টি সক্রিয় হয়। এজন্য আগে থেকে যদি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে তাহলে গর্ভপাতের পরে তাদের দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না। এজন্য প্রত্যেক নারীকে গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা রাখা উচিত।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় এ বিষয়ে বিস্তারিতঃ

গর্ভপাতের পর ১৪ দিন রক্তপাত হয়।গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় এ বিষয়টি জানার পূর্বে আমাদের আগে জানতে হবে গর্ভপাত কি ? এবং কেন হয় ? । গর্ভপাতকে ইংরেজিতে মিসক্যারিজ বা এবরশন বলা হয়। গর্ভপাত বলতে বোঝানো হয় গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া। গর্ভপাত হলো গর্ভাবস্থার ২২ সপ্তাহ পার হবার আগে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া। যেটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে।

গর্ভপাতের পর ১৪ দিন রক্তপাত হয়।একটি নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন সেই নারী তার পরিবারের জন্য খুশির পাত্রী হয়ে যায়। সেই নারীর কারণে পরিবারে বয়ে আসে সুখ-শান্তির ছায়া। পরিবার উৎফুল্লে মেতে উঠে এবং নবাগত শিশুকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে থাকে। গর্ভধারণকৃত নারীর শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং বাবার বাড়ির লোকজন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখে।

এমন পরিস্থিতিতে গর্ভপাত হওয়া একটি মারাত্মক যন্ত্রণাদায়ক মানসিক ক্ষতি। যে ক্ষতির প্রধান প্রভাবক হয় গর্ভবতী নারী। গর্ভধারণকৃত অবস্থা ২২ সপ্তাহে পৌঁছানোর আগেই গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়াকে গর্ভপাত বলা হয়। এজন্য গর্ভাবস্থায় বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়।

মিসক্যারিজ বা এবরশন যেটাকে বাংলাতে গর্ভপাত বলা হয়। এই মিসক্যারিজ বা গর্ভপাত প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতেই, প্রত্যেক সমাজে, প্রত্যেক রাষ্ট্রে হয়ে থাকে। গর্ভপাত বলতে মূলত বোঝানো হয় গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় গর্ভধারণ করার তিন মাসের মধ্যে অনেক সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।

গর্ভপাতের লক্ষণ হিসেবে তলপেটে ব্যাথা হতে পারে, রক্তপাত হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরে দেখা যায় প্রেগনেন্সিটা বড় হয় না। সাধারণত কোন নারীর গর্ভাবস্থা পরিলক্ষিত করার জন্য সময় দেওয়া হয়ে থাকে। যদি মাসিক চক্র শুরু না হয় তাহলে সাতদিন পরে প্রেগনেন্সিটা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এরপরে ৭ থেকে ৮ সপ্তার পরে আবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয়। সেক্ষেত্রে যদি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানের মাধ্যমে যদি বোঝা যায় যে বাচ্চাকে আবদ্ধকৃত তরল পর্দা দেখা যাচ্ছে কিন্তু বাচ্চাকে দেখা যাচ্ছে না সেটাকে ও গর্ভপাত বলা হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চা দেখা গেলেও যদি বাচ্চার হার্টবিট পরিলক্ষিত না হয় সেটাকে ও গর্ভপাত বলে আখ্যায়িত করা হয়।

গর্ভাবস্থা যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নষ্ট হয়ে যায় সেটাকে গর্ভপাত বা ইংরেজিতে মিসক্যারিজ বলা হয়। আর যদি গর্ভাবস্থায় কোন ওষুধ বা মেডিসিন এর মাধ্যমে নষ্ট করে দেওয়া হয় সেটাকে এবরশন বলা হয়।

গর্ভপাত সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। ১ম গর্ভপাত রয়েছে যেই গর্ভপাতের পূর্বে বিভিন্ন লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় যেমনঃ রক্তপাত হওয়া, তলপেটে ব্যথা হওয়া। সেক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করলে গর্ভের বাচ্চাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচানো যায়। এ ধরনের গর্ভপাত হওয়ার থেকে বাঁচানো যায়। কারণ বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি সাধন করেছেন।

২য় ধরনের গর্ভপাত রয়েছে যেটি কোনভাবেই আটকানো সম্ভব নয়। অর্থাৎ যে গর্ভপাতটি হবেই। এই গর্ভপাতের কোন পূর্ব পরিলক্ষিত লক্ষণ থাকে না। হঠাৎ করে দেখা যায় ৬ সপ্তাহ পরে প্রেগনেন্সি থেমে যায়। অর্থাৎ কোন লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ করে প্রেগনেন্সি বড় হওয়া থেমে যায়। কোন সময় বাচ্চাকে দেখা যায় না, আবার বাচ্চাকে দেখা গেলে বাচ্চার হার্টবিট পরিলক্ষিত হয় না।

গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় সেটি মূলত গর্ভপাতের ধরনের ওপর নির্ভরশীল। গর্ভপাত সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। যে গর্ভপাতটি ইচ্ছাকৃতভাবে করানো হয় সেটিকে ইংরেজিতে এবরশন বলা হয়। যেটি ঔষধের মাধ্যমে করানো হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এবরশন পিলস খাবার পরে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যাপক হারে রক্তপাত পরিলক্ষিত হয়।

এবরশন মাধ্যমে গর্ভপাতের পর সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ থেকে ১০ দিন রক্তপাত স্থায়ী হয়। এই রক্তপাত ২ সপ্তাহের পরে একেবারেই পরিলক্ষিত হয় না অর্থাৎ এই রক্তপাতটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এবরশন বা ঐচ্ছিক গর্ভপাতের পরে ৭ দিন থেকে ১০ দিন রক্তপাত হয়। এ সময় গর্ভপাতকৃত নারীর শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা পরিলক্ষিত হতে পারে।

আরেকটি গর্ভপাত রয়েছে যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে। এই গর্ভপাতকে ইংরেজিতে মিসক্যারিজ বলা হয়। এই মিসক্যারিজ বা স্বয়ংক্রিয় গর্ভপাত হওয়ার ফলে গর্ভপাতের পর ১৪ দিন পর্যন্ত রক্তপাত স্থায়ী হয়। নারীর শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। যার ফলে গর্ভধারণকৃত নারীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়ে থাকে।

এজন্য গর্ভধারণকৃত নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পুনরাবৃত্তি ঘটার আগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকা উচিত। এই মিসক্যারিজ বা স্বয়ংক্রিয় গর্ভপাতের পরে গর্ভধারণকৃত নারীর তলপেটে ব্যথা ও রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। এই তলপেটে ব্যথা সহকারে রক্তপাত সাধারণত ২ সপ্তাহ বা ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ গাইনি বিশেষজ্ঞ ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্যক।

গর্ভপাতের ফলে রক্তপাতের ঝুকি কমাতে প্যাড ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্য মনে রাখতে হবে প্যাড ব্যতীত অন্য নেকরা বা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। যার ফলে শারীরিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। সাধারণত এক ঘন্টায় একটির বেশি প্যাড ব্যবহার করতে হয় না। যদি এক ঘন্টায় একটির বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই গাইনি বিশেষজ্ঞ ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

পরিশেষে বলা যায়, ২ ধরনের গর্ভপাতের মধ্যে যেকোনো গর্ভপাতের পর ১৪ দিন রক্তপাত হয়। অর্থাৎ রক্তপাত প্রক্রিয়াটি ১৪ দিন বা ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় না। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার ফলে আপনারা গণপত সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়েছেন। বিশেষ করে গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয়

অনেক নারীরা রয়েছে যারা গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয় এ সম্পর্কে অজ্ঞাত। তারা এ বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগে। কারণ তারা জানে না গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয়। যে কোন বিষয়ে সম্পন্ন ধারণা না থাকলে দুশ্চিন্তা হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে যারা প্রথমবার গর্ভপাত করেছে তাদের জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ। অর্থাৎ গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয় এটা নিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তা করে থাকে।

এজন্য গর্ভপাতের বিষয়টি প্রত্যেক নারীকে জেনে রাখা উচিত। কারণ নারীদের জীবনে একবার হলেও গর্ভধারণের বিষয়টি সক্রিয় হয়। এজন্য আগে থেকে যদি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে তাহলে গর্ভপাতের পরে তাদের দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না। এজন্য প্রত্যেক নারীকে গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয় এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা রাখা উচিত।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয় এ বিষয়ে বিস্তারিতঃ

গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয় এ বিষয়টি জানার পূর্বে আমাদের আগে জানতে হবে গর্ভপাত কি ? এবং কেন হয় ? । গর্ভপাতকে ইংরেজিতে মিসক্যারিজ বা এবরশন বলা হয়। গর্ভপাত বলতে বোঝানো হয় গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া। গর্ভপাত হলো গর্ভাবস্থার ২২ সপ্তাহ পার হবার আগে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া। যেটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে।

একটি নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন সেই নারী তার পরিবারের জন্য খুশির পাত্রী হয়ে যায়। সেই নারীর কারণে পরিবারে বয়ে আসে সুখ-শান্তির ছায়া। পরিবার উৎফুল্লে মেতে উঠে এবং নবাগত শিশুকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে থাকে। গর্ভধারণকৃত নারীর শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং বাবার বাড়ির লোকজন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখে।

গর্ভপাতের পর অনেকে নারী চায় নতুন ভাবে গর্ভধারণের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে গর্ভপাতের কতদিন পর মাসিক হয়। কারণ গর্ভধারণের জন্য মাসিকের গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত গর্ভপাতের ২৮ দিন থেকে ৪২ দিন পর মাসিক হয়। গর্ভপাতের ২৮ দিন থেকে ৪২ দিন পর মাসিক না হওয়া পর্যন্ত গর্ভধারণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা যাবে না।

কারণ গর্ভপাতের পর গর্ভপাতকৃত নারীর শরীর স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসতে কার্যকর হয়। এ সময় গর্ভপাতকৃত নারীকে কোন প্রকার শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। এ সময় শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করলে ভবিষ্যতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের সম্মুখীন হতে পারে। এজন্য গর্ভপাত হবার পরে মাসিক শুধু না হওয়া পর্যন্ত খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সাধারণত গর্ভপাতের ২৮ দিন থেকে ৪২ দিন পর মাসিক হয়। কিন্তু এটি সবার ক্ষেত্রে একই রকম সময় লাগে না। কারণ এটি সম্পূর্ণ নারীর শারীরিক ও মানসিক সামর্থের উপরে নির্ভর করে। একেক জনের একেক রকম সময় লাগে। গর্ভপাতের ২৮ থেকে ৪২ দিন এর মধ্যে মাসিক শুরু হয়ে গেলে মাসিকের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা প্যাড ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্যাডের পরিবর্তে কোন প্রকার ন্যাকড়া বা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। কারণ কাপড়ে অনেক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যার ফলে ইনফেকশনের প্রভাব দেখা যেতে পারে। যেহেতু গর্ভপাত একটি নারীর জীবনের কলঙ্কময় অধ্যায়। এজন্য এ সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আশা করি আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভপাতের ২৮ দিন থেকে ৪২ দিন পর মাসিক হয়।

গর্ভপাতের লক্ষণ

গর্ভপাত সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো এবরশন বা ঐচ্ছিক গর্ভপাত।আর দ্বিতীয়টি হলো মিসক্যারিজ বা স্বয়ংক্রিয় গর্ভপাত।এই গর্ভপাতের ধরনের উপরে নির্ভর করে গর্ভপাতের লক্ষণ উপরিলক্ষিত হয়।

১ম টি হচ্ছে ঐচ্ছিক গর্ভপাত বা এবরশন। ঐচ্ছিক গর্ভপাত বা এবরশন হলো ঔষধ এর মাধ্যমে গর্ভপাত করানো। অর্থাৎ গর্ভাবস্থাকে নষ্ট করে ফেলা। এক্ষেত্রে ২য় সপ্তাহ থেকে ৪র্থ সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটানো হয়। এবরশন করানো হলে তা ঋতুস্রাব এর মত হয়ে বেরিয়ে যায়। ৪র্থ সপ্তাহ থেকে ১২ তম সপ্তাহে গর্ভপাত করানো হলে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয়।

এ সময়ে গর্ভপাত করানো হলে রক্তপাতের রং টকটকে লাল এর মত হবে। এছাড়া বমি বমি ভাব, স্তনের সংকোচনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। ১২ তম সপ্তাহ থেকে ২০ তম সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করানো হলে মারাত্মক ঝুঁকি পরিণত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডি এন সি করানোর প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি কখনোই করা উচিত নয়। কারণ সন্তান সৃষ্টিকর্তার বিশেষ নেয়ামত।

বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা হয়

অনেক নারীর না বুঝে অনেক সময় বাচ্চা নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ফলে বাচ্চা নষ্ট করার পর তারা বিভিন্ন জটিলতা সম্মুখীন হয়। এজন্য প্রত্যেক নারীর উচিত বাচ্চা নষ্ট করার পূর্বে বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা হয় তার জেনে রাখা। কিন্তু প্রায় অধিকাংশ নারী জানে না বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা হয় । ফলে তারা বাচ্চা নষ্ট করার পর বিভিন্ন জটিলতায় ভুগে।

রক্তক্ষরণ

বাচ্চা নষ্ট করার পর সর্বপ্রথম যে সমস্যাটি দেখা দেয় তা হলো রক্তক্ষরণ। বাচ্চা নষ্ট করার পরে নারীর শারীরিক অবস্থা অনুসারে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। রক্তক্ষরণ একেক নারীর ক্ষেত্রে একেক ধরনের হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে একটি ভীতিকর বিষয় হলো যেসব নারীর শরীরে রক্ত কম তাদের বাচ্চা নষ্ট করার পর রক্তক্ষরণ হলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।

কোমরের ব্যথা

দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো কোমরের ব্যথা। এটি ব্যাপক সমস্যাটি নারীর শরীরকে প্রভাবিত করে। যার ফলে নারীর জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ যন্ত্রণা সমৃদ্ধ ব্যথা। ফলে যে নারী বাচ্চা নষ্ট করেছে তার জীবনধারণ করতে ব্যাপক সমস্যা হয়। ফলে তার স্বাভাবিক জীবন পরিচালনা করতে বিভিন্ন সম্মুখীন হতে হয়। হাঁটাচলা থেকে শুরু করে কোন কাজ করতে পারে না।

রগে টান লাগা

তৃতীয় সমস্যাটি হলো রগে টান লাগা। বাচ্চা নষ্ট করার পরে অধিকাংশ নারীর এই সমস্যাটি দেখা যায়। এ সমস্যাটি হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যার ফলে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। রগে টান লাগার সমস্যা দূর করণের জন্য বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যায়াম রয়েছে। এজন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশিত শারীরিক ব্যায়াম প্রতিনিয়ত করতে হবে।

অনিয়মিত মাসিক

চতুর্থ সমস্যাটি হলো অনিয়মিত মাসিক। সন্তান নষ্ট করার পর অর্থাৎ গর্ভপাতের প্রায় ২৮ দিন থেকে ৪২ দিন পর মাসিক হয়। বাচ্চা নষ্ট করার পরে অনিয়মিত মাসিক শুরু হয় যেটি যে কোন নারীর জন্য হুমকি স্বরূপ। অনিয়মিত মাসিক হবার ফলে বাচ্চা নষ্ট করার পর নতুন ভাবে বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করতে সমস্যা হয়। এছাড়া বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।

গর্ভধারণের ঝুঁকিপূর্ণতা

চতুর্থ সমস্যাটি হলো নতুনভাবে গর্ভধারণের ঝুঁকিপূর্ণতা। অধিকাংশ নারী বাচ্চা নষ্ট করার পরে বা গর্ভপাতের পরে নতুনভাবে গর্ভধারণের ইচ্ছা প্রকাশ করে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সাথে যুদ্ধ করতে হয়। এজন্য অবশ্যই বাচ্চা নষ্ট করার পরে গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিয়মিত পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

শারীরিক ও মানসিক ভঙ্গুরতা

পঞ্চম সমস্যাটি হলো শারীরিক ও মানসিক ভঙ্গুরতা। বাচ্চা নষ্ট করার পর নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই দুর্বিষহ থাকে। মানসিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পরে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে ধাবিত হয়। এটি নারীর পরিবারের উপরেও প্রভাব ফেলে। সে সময় যে নারী বাচ্চা নষ্ট করেছে তাকে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দিকে ধাবিত করা যাবে না।

রক্তস্বল্পতার কারণে মৃত্যু

ষষ্ঠ সমস্যাটি হলো রক্তস্বল্পতার কারণে মৃত্যু। অনেক সময় বাচ্চা নষ্ট করার পরে নারীর দেহে রক্তস্বল্পতার কারণে নারীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কারণ রক্ত আমাদের শরীরে সব কিছু প্রযোজনা করে থাকে। রক্তের মাধ্যমে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এজন্য যদি রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।

গর্ভপাতের পর সাবধানতা

গর্ভপাত সাধারণত নারীর জীবনে একটি কলঙ্কময় ঘটনা। যার ফলে একটি নারীকে বিভিন্ন ভয়ংকর পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়। অধিকাংশ নারী গর্ভপাতের পরে সাবধানতা সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকে। যার ফলে শারীরিক বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য যেসব নারীদের গর্ভপাত হয়েছে তাদের গর্ভপাতের পর সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

গর্ভপাতের পরে নারীরা সাধারণ শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। যেসব নারীরা জীবনের প্রথম গর্ভধারণ করেছে তাদের যদি গর্ভপাত হয় সেক্ষেত্রে তাদের ঝুকির কারণ আরো বেশি। কারণ নারীদের জীবনে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত হলো গর্ভধারণকৃত অবস্থা । এই সময় যদি কোন অঘটন ঘটে তাহলে, তারা সাময়িক শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।

এজন্য পরিবারের যারা অন্যান্য সদস্য রয়েছে তাদের উচিত গর্ভপাতকৃত নারীর খেয়াল রাখা। তাদের মানসিক শক্তি যোগানো। গর্ভপাতের পরে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার উপরে বিশেষ নজর দিতে হবে। পুষ্টিকর বিভিন্ন শাকসবজি, শুকনো ফল, দুধ, ডিম, ভিটামিন ডি, মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বেশি বেশি খেতে হবে। গর্ভপাতের পরে সকল ধরনের ভারী ও চাপযুক্ত সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া সংসারে বিভিন্ন কাজ যেমনঃ কাপড়-চোপড় ধোয়া, থালা-বাসন মাজা ইত্যাদি।

গর্ভপাতের পরে নারী দেহে ব্যাপক পরিমাণে পানির অভাব দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রভাব পরিলক্ষিত হতে পারে। এজন্য কোষ্ঠকাঠিন্যর থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে গ্রহণ করতে হবে। গর্ভপাতের পরে শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় এবং প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক নির্দেশিত বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম ও বডি ম্যাসাজ করাতে হবে।

গর্ভপাতের পর পরই নতুন করে বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ গর্ভপাতের পরে নারীর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসতে সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। তবে একেক নারীর শারীরিক অবস্থা একেক ভাবে পরিবর্তিত হয়। নারীর শারীরিক অবস্থা ভেদে নতুন করে গর্ভধারণের বিষয়টির তারতম্য রয়েছে।

গর্ভপাতের পরে প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও গাইনি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিয়মিত পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। হঠাৎ কোন শারীরিক পরিবর্তন দেখলে সাথে সাথে তা চিকিৎসককে জানাতে হবে। নাহলে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ পরিলক্ষিত হতে পারে। এ সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারন এই সময়টি নারীর জীবনের জন্য খুব স্পর্শকাতর

গর্ভপাতের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় তার পরিবারকে। কারণ গর্ভপাতের পরে নারীদের শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য একেবারেই দুর্বল থাকে। এজন্য পরিবারের সাপোর্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের যারা অন্যান্য সদস্য রয়েছে তাদের উচিত সবসময় গর্ভপাতকৃত নারীর সাথে থাকা এবং তাদের জীবনকে সহজ-সরল ভাবে গঠন করা। তাদের সবসময় আনন্দ উৎফুল্ল রাখা। যাতে তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে আসে।

গর্ভপাতের কতদিন পর সহবাস করা যায়

যেহেতু গর্ভপাতের পরে গর্ভপাতকৃত নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এজন্য তখন কোন প্রকার শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রদান করা যাবে না। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে গর্ভপাতের ৯০ দিন বা ৩ মাস পর সহবাস করা যায়। গর্ভপাতের পরে নারীর পরিবারের সাপোর্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তখন গর্ভপাতকৃত নারীকে কোন প্রকার চাপ প্রদান করা যাবে না।

গর্ভপাতের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যাবে

গর্ভপাতের পরে নতুন করে গর্ভধারণের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জানা উচিত গর্ভপাতের কত দিন পর ডিম্বানু বের হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে গর্ভপাতের ৯০ দিন পর ডিম্বানু বের হয়। অর্থাৎ গর্ভপাতের ৯০ দিন বা ৩ মাস পর ডিম্বানু বের হয়। গর্ভপাতের ৯০ দিন বা ৩ মাস পর বাচ্চা নেওয়া যাবে। তবে গর্ভপাতের ৩৬৫ দিন বা ১ বছর পর বাচ্চা নেওয়া উচিত।

যেহেতু গর্ভপাতের পরে গর্ভপাতকৃত নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়ে । এজন্য তখন কোন প্রকার শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রদান করা যাবে না। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে গর্ভপাতের ৯০ দিন বা ৩ মাস পর সহবাস করা যায়। গর্ভপাতের পরে নারীর পরিবারের সাপোর্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তখন গর্ভপাতকৃত নারীকে কোন প্রকার চাপ প্রদান করা যাবে না।

শেষ কথা

গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আজকে আমরা আপনাদের সাথে গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় এ নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি আজকের আমার এই পোষ্টটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।আজকের পোষ্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

স্বাস্থ্য