প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি

MD ABIR HOSSEN

19 Feb, 2024

প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন তাহলে প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি এ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

প্রোগ্রামিং শেখার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনারা খুব সহজেই প্রোগ্রামিং শিখতে পারবেন। তাই দেরি না করে প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি এর বিস্তারিত জেনে নিন। আপনাদের সুবিধার্থে নিচের ধাপে ধাপে প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হল।

পেজ সূচিপত্রঃ প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি

ভূমিকা
প্রোগ্রামিং এর জনক কে
প্রোগ্রামিং এর স্টেপ
প্রোগ্রামিং কিভাবে শিখবেন
প্রোগ্রামিং শিখে কি হবে
প্রোগ্রামিং শেখার জন্য কত দিন সময় প্রয়োজন
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার জন্য কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার
উপসংহার

ভূমিকা

কম্পিউটারকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানোর জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশ দিতে হয়। এই জন্য কম্পিউটারের সাহায্যে কোন বিশেষ কাজ করবার জন্য, প্রোগ্রামিং ভাষায় তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। মানুষ বিভিন্ন কাজ এবং নির্দেশ পালনের জন্য নির্দিষ্ট ভাষা শেখে। ঠিক তেমনি কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রোগ্রামিং ভাষার ব্যবহার করা হয়।

প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে কম্পিউটার আমাদের ভাষা শুনে। প্রোগ্রামিং শেখার মাধ্যমে এখন অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে থাকছে, প্রোগ্রামিং শেখার আগে অনেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি আলোচনা করি। আর্টিকেলটি যদি আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়েন তাহলে প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

প্রোগ্রামিং এর জনক কে

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হল প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি এই সম্পর্কে। অগাস্টা অ্যাডা বা লাভলেসের কাউন্টেস প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর ধারণাটি নিয়ে আসেন। তাই অগাস্টা অ্যাডা প্রোগ্রামিং এর জনক হিসেবে মানা হয়। তিনি দশে ডিসেম্বর ১৮১৫ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। ২৭ নভেম্বর ১৮৫২ সালে মাত্র 36 বছর বয়সে তিনি মারা যান।

প্রোগ্রামিং এর স্টেপ

প্রোগ্রামিং করার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ রয়েছে। বেশিরভাগ প্রোগ্রামার এই চারটি স্টেপ অনুসরণ করে প্রোগ্রামিং তৈরি করে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়?

চলুন তাহলে জেনে নিই প্রোগ্রামিং এর স্টেপ সম্পর্কে:

সমস্যা বোঝাঃ একজন প্রোগ্রামার এর সবথেকে যে জিনিসটি করতে হবে সেটি হল সমস্যাটা খুঁজে বের করা। অর্থাৎ কোন সমস্যার কারণে প্রোগ্রাম তৈরি করতে হবে সেটা দেখা।
সমাধান খোঁজাঃ সমস্যা খোঁজার পর এর সমাধান কি এটা খুঁজে বের করা।
কোডিং করাঃ এরপর সমাধানের হিসাব অনুযায়ী কোটিং করতে হবে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কোডিং করার জন্য নির্দিষ্ট প্রোগ্রামার, যে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে দক্ষ, সেই ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে কোটিং করতে হবে।
টেস্টিং করাঃ কোডিং সম্পন্ন করার পর সম্পূর্ণ কোডিং টেস্ট করতে হয়। নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং টি কোন ধরনের রেজাল্ট দিচ্ছে সেটি এনালাইসিস করতে হয়। যার থেকে সমস্যাটির সমাধান হয়েছে কিনা এটা স্পষ্ট হয়ে যায়।

প্রোগ্রামিং কিভাবে শিখবেন

প্রোগ্রামিং শেখার জন্য আপনি কোন ল্যাঙ্গুয়েজে প্রোগ্রামিং তৈরি করতে চান সেটি আগে নির্বাচন করুন। এরপর আপনার পছন্দের ভাষাটি বেছে নিয়ে সেটি সম্পর্কে রিসার্চ করুন। এরপর আপনি ওপরে দেওয়া ওয়েবসাইট গুলো থেকে বিনামূল্যে আপনার নির্বাচন করার নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে শিখতে পারবেন।

যদি আপনি প্রোগ্রামিং এর কোর্স করতে চান তাহলে কোন ভালো কলেজ থেকে ডিগ্রীও নিতে পারেন। ভিডিও দেখে একদম বিনামূল্যে প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন। আবার প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি এ সম্পর্কে জেনেও প্রোগ্রামিং শিখতে পারবেন। আশা করি আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কিছুটা হলেও প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা লাভ করবেন।

প্রোগ্রামিং শিখে কি হবে

বর্তমান সময়ে প্রোগ্রামিং করে ইনকাম করা খুব সহজ একটি সোর্স। তবে প্রোগ্রামিং সহজ হলেও এটি শিখতে এবং করতে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। যার কারণে সবাই প্রোগ্রামিং করতে পারে না বা চায় না।

আরো পড়ুনঃ কোরআন তেলাওয়াত এর ফজিলত

চলুন তাহলে জেনে নেই প্রোগ্রামিং শিখে কি হবে:

বর্তমান সময়ে এটি আপনাকে একটি কাজের গ্যারান্টি দেয়।
আপনি বাড়িতে বসে কাজ করতে পারবেন।
আপনি কম্পিউটারের যেকোন প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারবেন।
সফটওয়্যার কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে ধারণা আসবে।
উচ্চ আয়ের সম্ভাবনা আছে।
টেকনিক্যাল স্কিলস সম্পর্কে জ্ঞান আসবে।
নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
সমস্যা সমাধান সম্পর্কে দক্ষতা আসবে।

প্রোগ্রামিং শেখার জন্য কত দিন সময় প্রয়োজন

এটা পুরোটাই ডিপেন্ড করবে আপনার ওপর। আপনি কোন এপ্রোচে প্রোগ্রামিং টা শিখা শুরু করছেন। সো এই প্রোগ্রামিং শেখার বিভিন্ন অ্যাপ রোজমূলক ক্যাটাগরি রয়েছে। প্রোগ্রামিং শিখতে কতদিন সময় লাগবে তা নির্ভর করে সম্পন্ন আপনার উপর। কেউ প্রোগ্রামিং শিখে ক্লাস ৮ থেকে।

আবার অনেকেই আছে যারা অনেক দেরি করে প্রোগ্রামিং শিখতে চাই। প্রোগ্রামিং শেখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয় এবং সময় দিতে হয়। যার কারণে অনেকেই প্রোগ্রামিং করতে চাই না। প্রোগ্রামিং শেখার জন্য শুরু থেকেই প্রচুর ধৈর্যের সাথে প্রোগ্রামিং শুরু করতে হয়। আপনি যদি সেলফ গাইড সেমি-ডিসট্রাকটেড এপ্রোচ এর মাধ্যমে কোডিং শিখতে চান। অনেক সহজে প্রোগ্রামিং এর ভিডিও পেয়ে যাবেন। তবে এর ক্ষেত্রেও কিছু বেসিক দরকার।

এভাবেই প্রোগ্রামিং এর পেছনে সময় দিলে মোটামুটি দুই বছর সময় লেগে যাবে একটা রিজনেবল লেভেলে যাওয়ার জন্য। আপনি যদি প্রোগ্রামিং এর পেছনে প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা সময় দিতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি প্রোগ্রামিং শিখতে পারবেন। ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বা এর একটু বেশি সময় প্রতিদিন লেগে থাকলে ৬-৮ মাসের মধ্যে নিয়ে আসতে পারবেন। আপনারা যদি প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি এ সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে আরও তাড়াতাড়ি প্রোগ্রামিং শিখতে পারবেন।

অনেকেই প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে ধৈর্য হারায় এবং মাঝপথে ছেড়ে দেয়। তবে প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে যদি আপনি ধৈর্যের সাথে এক লাগাতার করে যান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি সফলতা পাবেন। আশা করি তাহলে বুঝতে পেরেছেন প্রোগ্রামিং শেখার জন্য খুব বেশি সময় প্রয়োজন হয় না তবে ধৈর্য, পরিশ্রম এবং মনোযোগের সাথে শিখে গেলে খুব সহজেই প্রোগ্রামিং শিখে ফেলবেন। খুব বেশি সময় লাগবে না।

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার জন্য কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার

মানুষ যেমন নিজেদের ভাষায় একে অপরের সাথে কথা বলে, তেমনি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র গুলো একটা নির্দিষ্ট ভাষায় কমিউনিকেট করে। এ ভাষাকে বলা হয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা হলো প্রোগ্রামিং বোধ হয় শুধু সাইন্সের শিক্ষার্থীরাই করতে পারবে! আসলে কিন্তু তা নয়।

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় মুলতানি মাটি ব্যবহারের ১৫টি নিয়ম

আপনি সাইন্স, কমার্স বা আর্টস যে ব্যাকগ্রাউন্ডেরই হোন না কেন, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল আপনাকে ক্যারিয়ারে অনেকের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। কারণ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, গেম ডেভেলপমেন্ট সবই আপনি প্রোগ্রামিং ভাষার মাধ্যমে করতে পারবেন। আজকাল চাকরির জন্য সিভি বাছাই এর ক্ষেত্রেও প্রোগ্রামের উপর আপনার দখল কতটুকু তার গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

প্রোগ্রামিং ভাষার জন্য কোন রকম স্পেসিফিক যোগ্যতা লাগে না। শুধুমাত্র বেসিক নলেজ থাকলে হয়। ক্লাস নাইনের ম্যাথ এবং এর সাথে কিছু বেসিক ধারণা লাগে। অর্থাৎ কেউ যদি এসএসসি পাস হয় এবং সে প্রোগ্রামিং করতে চায় তাহলে সে নির্দ্বিদাই করতে পারবে। ইতিমধ্যে তাহলে হয়তো জানতেই পারলেন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার জন্য তেমন কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার হয় না।

উপসংহার

ইতিমধ্যে আপনারা বুঝতে পেরেছেন প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি সম্পর্কে। কম্পিউটারের জন্য আবশ্যক হচ্ছে প্রোগ্রামিং জানা।

প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের অনেক কিছুই জানতে পারবো এবং কম্পিউটার পরিচালনা করতে পারবেন।প্রোগ্রামিং শেখার মাধ্যমে কম্পিউটারের আমরা যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে পারব। কম্পিউটারের সাহায্যে যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে।

আশা করি তাহলে প্রোগ্রামিং শেখার ১৫টি কার্যকারী পদ্ধতি কি এই সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪২