নীরব ঘাতক হাড়ের ক্যান্সারের ১০ টি লক্ষণ ও করণীয়

হাড়ের কোষের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি হলে হাড়ের ক্যান্সার হয়। এটি শরীরের যে কোনও হাড়ের মধ্যে বিকাশ করতে পারে তবে এটি সাধারণত বাহু এবং পায়ের দীর্ঘ হাড়কে প্রভাবিত করে। হাড়ের ক্যান্সারের বিকাশে অবদান রাখতে পারে এমন বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলোঃ- 

কিছু ব্যক্তির জেনেটিক মিউটেশন বা প্রবণতা থাকতে পারে যা তাদের হাড়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এই জেনেটিক কারণগুলি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটতে পারে। কিছু রাসায়নিকের এক্সপোজার, যেমন পেট্রোলিয়াম শিল্পে ব্যবহৃত, হাড়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গুরুতর হাড়ের আঘাত বা ফাটল যা ভুলভাবে নিরাময় করে তা হাড়ের ক্যান্সারের বিকাশ ঘটাতে পারে, যদিও এটি তুলনামূলকভাবে বিরল।

হাড়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা হাড়ের ক্যান্সারের ধরন, এর পর্যায়, অবস্থান এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। ক্যান্সারজনিত টিউমার সার্জারির মাধ্যমে অপসারণ করা হাড়ের ক্যান্সারের একটি সাধারণ চিকিৎসা। এর লক্ষ্য হল যতটা সম্ভব সুস্থ হাড় এবং কাছাকাছি টিস্যু সংরক্ষণ করার সময় টিউমার অপসারণ করা। কিছু ক্ষেত্রে, টিউমার বড় হলে বা গুরুতর জায়গায় অবস্থিত হলে অঙ্গচ্ছেদ বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ-সঞ্চালনের প্রয়োজন হতে পারে।

কেমোথেরাপিতে ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলা বা তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করার জন্য ওষুধের ব্যবহার জড়িত। এটি প্রায়ই টিউমার সংকুচিত বা অবশিষ্ট ক্যান্সার কোষ নির্মূল করতে অস্ত্রোপচারের আগে বা পরে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও হাড়ের ক্যান্সারের চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি, বিকিরন থেরাপি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের উপায়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গুরুত্ব লক্ষণ গুলো যদি দেখা দেয় তাহলে বুঝে নিতে হবে হয়ত হাড়ের ক্যান্সারের শুরু হতে চলেছে বা ক্যান্সার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব লক্ষণ যে সবসময় ক্যান্সারেরই লক্ষণ তাও নয়। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে আপনার করণীয় হবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। দেরি করলে ক্যান্সার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই এসব লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।