যে কারণে স্মৃতি শক্তি কমে যায়।।স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার কারণ।।2024

 যে কারণে স্মৃতি শক্তি কমে যায়:

তবে মানুষের মস্তিষ্ককের এই বুদ্ধিমত্তা দিক কে কতখনি ব্যবহার করবে বা কাজে লাগবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে প্রত্যেকের নিজস্ব ক্ষমতার উপর করব। যেমন- মস্তিষ্কের এই বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়, কোন কাজ সম্পূর্ণ করতে, যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে, কোনো কাজে মনোযোগ সম্পন্ন করতে এবং সৃজনশীল কাজে প্রয়োজন এই বুদ্ধিমত্তার। আবার কিছু কিছু ভুল চিন্তা-ভাবনা ও মানসিক দ্বন্দ্ব ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয় এই বুদ্ধি বা আইকিউ। তবে স্বাভাবিক ভাবে এটা হয়ে থাকে যে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা কমতে থাকে, সেজন্যে মানুষ কোনো কিছু দিক মনে রাখতে পারে না।

প্রত্যেক মানুষ পরিণত বয়সে পৌঁছলে মস্তিস্ক খুব কম কাজ করে, কারণ পূর্ণাঙ্গ বয়সে মানষের মেমোরি দুর্বল হয়ে পড়ে।এছাড়াও বয়সকালে মানুষের মধ্যে আরও নানারকম সমস্যা হতে দেখা যায়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় আবার স্মৃতি শক্তির সমস্যা হয়ে থাকে। তবে মানুষের জীবনে স্মৃতি শক্তির প্রয়োজনীয়তা কতটা তা প্রত্যেক মানুষেরই জানা। এছাড়া অনেক মানুষের আবার এতটাই তীক্ষ্ণ স্মৃতি শক্তি যার ফলে কোন কিছু একবার দেখলেই অনেকদিন পর্যন্ত স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারে।

অনেক সময় এই রকম দেখা যায় যে, কোনো ব্যাক্তি আর এক অন্য ব্যাক্তির মতো কোন কিছুর দিকে বারবার তাকিয়ে থেকে দেখছেন। কিন্তু জিনিসটার সম্বন্ধে কিছু মনে রাখতে পারছেন না। তাহলে কি বলা যায় ওই ব্যাক্তির স্মৃতি শক্তি বা মেধা একদমই কম। আসলে সব থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সবাই একভাবে মনে রাখতে পারে না। কারণ, সকল মানুষের মস্তিষ্কের গঠন একরকম নয়। তবে কয়েকটি সহজ কৌশলের মধ্যে দিয়ে বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়ে থাকে স্মৃতি শক্তি।যখন কোনো জটিল অর্থাৎ কঠিন কাজ করতে হয় তখন আমাদের অর্থাৎ কোনো ব্যাক্তির ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত বুদ্ধি খরচের প্রয়োজন হয়, তাহলে তার মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা এবং ফোকাসের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফলে সাময়িকভাবে আমাদের অর্থাৎ ব্যাক্তির আইকিউ কমে যায়।

কখনো আমরা যদি পথে চলতে চলতে ১০০০ থেকে পেছনের দিকে ৭ বাদ দিয়ে গুণতে শুরু করি অর্থাৎ ১০০০, ৯৯৩, ৯৮৬ এভাবে সংখ্যা গুনতে গুনতে পথ চলতে থাকি, তাহলে একসময় আমরাএকই সময়ে দুই দিকে মনোযোগ দিতে মস্তিষ্কের ক্ষমতা না থাকার কারণে, আমি কোনো এক জায়গায় হাঁটা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ব।তবে কাজটি যদি জটিল না হতো তাহলে একভাবেই কাজটা সম্পূর্ণ করা যেত। যেমন- আমরা পড়ার কাজ করতে বসে গান শুনতে শুনতে অংক করতে পারি। খেতে খেতে বই পড়তে পারি, ইত্যাদি।

আবার আমাদের অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষ মাত্রেরই কিছু মানসিক অভ্যাস রয়েছে যার কারণে আমাদের একই সঙ্গে দুই দিকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।তবে এই ধরণের সমস্যা গুলোর সম্পর্কে আমরা অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষ যদি সচেতন হই তাহলে নিজেদের যোগ্যতাকে আরও অনেক বেশি বিকাশ করতে পারবো। এমনকি আরও অনেক বেশি জটিল সমস্যা সমাধানে সক্ষম হতে পারব। তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক কিছু মানসিক অভ্যাস গুলোর কথা।:-

 ১ । মানুষের গভীর চিন্তা:-যদি কোনো মানুষ সর্বত্র সময় হতাশা ও বিষন্নতায় ভুগতে থাকেন এবং নেতিবাচক চিন্তা করতে থাকেন তাহলে এর বিরূপ প্রভাব মস্তিষ্কের উপর পড়ে। তবে যখন আমরা স্ট্রেসড থাকি তখন অনেক স্বাভাবিক চিন্তা-ভাবনার বিষয়ও ভুলতে থাকি।এমনকি অনেক সাধারণ ভুল আমরা অর্থাৎ মানুষ মাত্রেই করে থাকে যা স্বাভাবিক ভাবে করার উপযুক্ত নয়। এসবের কারণ হিসেবে বলা যায়, গভীর মানসিক চাপ মানুষের মনোযোগ ব্যাহত করে। কিন্তু শুধু মানসিক নয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক শারীরিক কুপ্রভাবও রয়েছে।

 ২। আত্মগ্লানি জীবন:-আমরা অর্থাৎ প্রায় প্রত্যেক মানুষই জীবনে কিছু না কিছু ভুল করেই থাকে। আর এই ভুল গুলো প্রত্যেক মানুষের জীবনে এক ধরণের আত্মগ্লানি তৈরি করে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে যার কোনো সমাধান নেই। তবে অনেক সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে যে, যার জন্যে আমাদের দোষ না থাকা স্বত্ত্বেও নিজেদেরকে দোষী মনে হয়। এজন্যে আমাদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে।এমনকি প্রত্যেক নির্দোষ মানুষের ক্ষেত্রে এরকম হয়ে থাকে যে, নিজেকে দোষী মনে করে সারাক্ষণ কষ্টের মধ্যে থেকে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো অবস্থা করে ফেলা। সেজন্যে বলা যায় এই সমস্যার সবচেয়ে ভাল সমাধান হল, ক্ষমা চাওয়া এবং নিজেকে আত্মগ্লানি থেকে মুক্তি দেওয়া। 

৩। বৃথা অভিযোগ:-অনেক সময় এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়, যেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ফলে এগুলোর ক্ষেত্রে রাগ প্রকাশ করা ঠিক নয়।তবুও আমরা সেগুলোতেই রাগ প্রকাশ করে থাকি। শুধু তাই নয়, আমরা অনেক সময় রেগে যেতে থাকি একই কথা বা ঘটনা বারবার বলতে থাকার জন্যেও। তবে এই ভাবে বার বার কথা বলার জন্যেও অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়ে থাকে।এছাড়াও যে সমস্ত সমস্যা কিংবা অভিযোগের কোন সমাধান হয় না, সে সমস্ত সমস্যা কিংবা অভিযোগের ফলে আমাদের মনের অবস্থা দুর্বল হয়ে যায় এবং নিজের উপর আত্মবিশ্বাসও হারিয়ে যায়।এমনকি এধরণের কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে কোনো কাজে মনোযোগ দেওয়া ও বুদ্ধির হ্রাস পেয়ে থাকে।

৪। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা:- প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা হল এক ধরণের মনের রোগ। তবুও বেশীরভাগ মানুষ চিন্তা করাকে ক্ষতিকারক বলে মনে করে না। কিন্তু দুশ্চিন্তা আমাদের অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের বুদ্ধি প্রয়োগের ক্ষমতাকে হ্রাস করে দেয়, সেই সঙ্গে মানুষের ক্রমাগত দুশ্চিন্তা করা একটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে উঠে।আবার কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা অল্প সমস্যাতেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অথচ সমস্যা সমাধানের কোনো পথ খুঁজে পান না, উপরন্তু অন্যদেরকেও দুশ্চিন্তার সমস্যায় ফেলে দেন। অনেক মানুষের ক্ষেত্রে এরকমটাও হতে দেখা যায় যে কোন কারণ ছাড়াই দুশ্চিন্তা করে রাতে ঘুমাতে পারেন না। তবে এরকম সমস্যার ক্ষেত্রে অবশ্যই মানসিক রোগের চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়া খুবই জরুরি।

৫। অগ্রহণযোগ্যতা:- কোনো পরিবেশে কিংবা কোনো জায়গায় যেকোনো মানুষ তার নিজের অগ্রহণযোগ্যতা মেনে নিতে পারে না। এমনকি যদি কোনো জায়গায় কোনো ব্যাক্তির প্রবেশ করার অধিকার না থাকে তাহলে সেই ব্যাক্তি হতাশা বোধ করে থাকে। তবে সর্বত্র মানুষের মধ্যে এই ধরণের অভ্যাস রয়েছে যে, নিজের জন্য কোনো ব্যাক্তি'না'শব্দটি মেনে নিতে পারে না।

তখন মানুষ যুক্তির বদলে আবেগ দিয়ে বিচার করে। কখনো কখনো মানুষ আবার নিজের সমালোচনা করতে গিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে। তবে কোনোরকম ফলাফল নেই এমন প্রতিটি আচরণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং বুদ্ধির লোপ পেয়ে থাকে। তবে সমস্ত কিছুর সহজ সমাধান হল ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী।আগেকার দিনে ধারণা করা হতো, কোন ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা নির্ভর করে পারিবারিক ইতিহাসের উপর। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, মানুষ তার নিজের বিভিন্ন চর্চা ও খাদ্যতালিকার পরিবর্তনের সাথে সাথে বুদ্ধিমত্তার স্তর খুব সহজে বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়ে উঠে।তবে জেনে নেওয়া যাক, যে কয়েক উপায়ে বাড়িয়ে নেওয়া যায় প্রত্যেক মানুষের আইকিউ লেভেল।

১) পড়াশুনায় খুব মনোযোগী হতে হবে:- আপনি যদি বিজ্ঞানের ছাত্র হন তাহলে শুধু বিজ্ঞানের বই পড়লে চলবে না অর্থাৎ নিজের বিভাগ অনুযায়ী শুধু লেখাপড়া করলে হবে না। আপনাকে সমস্ত রকমের বই পড়তে হবে, যেমন-কবিতা, গল্প, উ পন্যাস, জোকস, পত্রিকা, ম্যাগাজিন ইত্যাদি।

২) পাজল ও বুদ্ধির প্রশ্নের উত্তর দেওয়া:- সকল মানুষের ক্ষেত্রে দরকার বিভিন্ন পত্রিকায় দেওয়া পাজল, শব্দজট, বুদ্ধির প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া। খেলা করুন রুবিক্স কিউব। তবে এসব সমাধান করতে প্রথম প্রথম একটু বেশি সময় লাগলেও ধীরে ধীরে সকল মানুষের ক্ষেত্রে সম্ভব হয়ে ওঠে। তবে প্রত্যেক মানষ লক্ষ করবেন কতটা কম সময়ে এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর মিলাতে পেরেছেন। জানবেন যত কম সময়ে করবেন ততই আপনার আইকিউ লেভেল বেড়েছে।

৩) মেডিটেশন করার প্রয়োজনীয়তা:- বিশেষজ্ঞদের মতে জানা যায় যে, মেডিটেশন হল বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর উপযুক্ত এক অস্ত্র। এই মেডিটেশন মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে ধৈর্য ধরতেও শেখায় এবং মনোযোগ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সেজন্যে আমাদের সকলের দরকার প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ৩০ মিনিট মেডিটেশন করে নেওয়া।

৪) ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা:- প্রত্যেক মানুষের জন্যে প্রতিনিয়ত যা খুব প্রয়োজন তা হল ব্যায়াম। বিখ্যাত সৃজনশীল লেখক এর মতে, হালকা ব্যায়াম মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রত্যেকে ব্যায়ামের উদ্যেশে দিনের সামান্য কিছুটা সময় বের করে নিন। তবে ব্যায়াম করার পরপরই মেডিটেশন করা যেতে পারে। আর এই করার ফলে শরীরের পাশাপাশি প্রশান্তিও ছড়িয়ে পড়বে মানুষের মনে।

৫) পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমের প্রয়োজন:- স্বাভাবিকভাবে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরের জন্যে কমপক্ষে প্রতিদিন আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কারণ ঘুমের সময় মস্তিষ্ক সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যকে সংরক্ষণ করে থাকে। প্রত্যেক মানুষের মেমোরি ঘুমের সময় পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়। সেজন্যে মানুষ নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।

৬) প্রতিনিয়তকার খাদ্য তালিকা তৈরী করুন:- একটা খুশির বিষয় হল এমন কিছু খাবার ও ফল আনন্দের কথা হচ্ছে এমন কিছু খাবার ও ফল রয়েছে, যা খেয়ে আমরা আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে পারি। তবে জেনে নেওয়া যাক সেই সকল খাবার সম্পর্কে। জাম:-জাম হল প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সম্পন্ন একটি ফল। সেজন্যে জাম, লিচু, স্ট্রবেরি, কালোজাম বা আঙ্গুরের মত ফল প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এই সমস্ত ফল গুলিতে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা ব্রেনের কোষের ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করে অর্থাৎ ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে। এছাড়াও ব্রেনের জন্য সর্বোচ্চ উপযুক্ত ফল হিসেবে ব্লু বেরীকে বাছাই করে নেওয়া হয়ে থাকে।বাঁধা কপি ও পালং শাক:- বাঁধা কপি এবং পালং শাক হল দুটি সব্জি। এই দুটি সব্জিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন কে এবং বিটা ক্যারোটিন। ভিটামিন কে এবং বিটা ক্যারোটিন এই উপাদান দুটি মানুষের শরীরের পেশী শক্তি ও স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়োমিত বাঁধা কপি বা পালং শাক খেয়ে থাকেন তাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বেশি প্রখর হয়।

মাছের মধ্যে সামুদ্রিক মাছ:- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে এই সামুদ্রিক মাছের পুষ্টি উপাদান। মানুষের মস্তিষ্কে থাকা ফ্যাটি এসিডের ৪০% হচ্ছে ডি এইচ এ, যা সামুদ্রিক মাছের তেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে।

বাদাম এবং দানা জাতীয় বীজ:- ভিটামিন-ই জাতীয় উপাদান রয়েছে বাদাম এবং দানা জাতীয় বীজে। তবে মানুষের শরীরে যে এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানের প্রয়োজন হয়ে থাকে তার উৎস হলো বাদাম এবং দানা জাতীয় বীজ। মানুষের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে বাদাম এবং বীজ দানার উপাদান সমূহ।

পানীয় হিসেবে কফি:- প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এক কাপ করে কফি পান করা শরীরের পক্ষে খুব উপকারী একটা দিক বলা যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন কফি পান করেন এমন ১৪০০ লোকের মধ্যে তাঁদেরই স্মৃতি ভ্রংশের রোগ অনেকটাই কম হয় যারা দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ কফি পান করে থাকেন। আবার যারা দিনে দুই কাপ কফি পান করে থাকেন, সেই সমস্ত মানুষের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি থাকে। এই ধরণের তুলনার মাধ্যমে ধারণা করা হয় যে কফিতে থাকা ক্যাফেইন ও এন্টি-অক্সিডেন্ট ব্রেইনের কোষগুলোকে সুরক্ষিত করে।

স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির হাতিয়ার বিট এবং ব্রোকলি:-

আমাদের অর্থাৎ সমগ্র মানব জাতির স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির আরেকটি উৎস বলা যায় বিট এবং ব্রোকলি। এই বিট এবং ব্রোকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-কে উপাদান, যা মেধা ও স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিতে অন্যতম।তবে এই সমস্ত বুদ্ধিমত্তার স্তর বাড়ানোর উদাহরণকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনেও স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির সফলতা অর্জন করুন।