নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কী হয়? ২০টি তথ্য জেনে নিন

 নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কী হয়? ২০টি তথ্য জেনে নিন

১. মুখের স্বাস্থ্য উন্নত করে

নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ও হলুদের অ্যান্টিসেপটিক প্রভাব মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে, মাড়ি ফোলা ও দাঁতের সংক্রমণ রোধ করে।  

২. প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

 নিম ও হলুদ ইমিউনোমডুলেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।  

৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় 

মুখে প্রয়োগে ব্রণ, ফুসকুড়ি ও কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে।  

৪. রক্ত শোধন করে 

নিম রক্ত পরিষ্কার করে, আর হলুদ লিভার ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক।  

৫. হজমশক্তি উন্নত করে

 নিম পাতার রস ও হলুদ পাচক এনজাইম সক্রিয় করে, গ্যাস-অম্বল কমায়।  

৬. প্রদাহ কমায়

 হলুদের কারকিউমিন ও নিমের গ্লাইকোসাইড জয়েন্টের ব্যথা ও ফোলা কমাতে কার্যকর।  

৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

 নিম পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হলুদ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়।  

৮. শ্বাসযন্ত্রের সুস্থতা

নিমের অ্যান্টিভাইরাল গুণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।  

৯. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ 

উভয়ই ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে, ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।  

১০. ক্ষত নিরাময়

 হলুদ দ্রুত কাটাছেঁড়া শুকাতে সাহায্য করে, নিম জীবাণু সংক্রমণ রোধ করে।  

১১. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে

 নিমের রস মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।  

১২. চুলের যত্ন

 মুখে খাওয়ার পাশাপাশি চুলে প্রয়োগে খুশকি ও চুল পড়া কমায়।  

১৩. পেটের প্যারাসাইট দূর করে 

নিমের অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক গুণ অন্ত্রের কৃমি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।  

১৪. অ্যালার্জির ঝুঁকি

কিছু মানুষের নিম বা হলুদের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে (ফুসকুড়ি, চুলকানি)।  

১৫. গর্ভাবস্থায় সতর্কতা

 অতিরিক্ত নিম সেবন গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।  

১৬. রক্ত পাতলা করার প্রভাব

 উভয়ই রক্ত জমাট বাঁধা কমাতে পারে, তাই রক্তত ওষুধ সেবনকারীদের সতর্ক থাকতে হবে।  

১৭. মুখে তেতো স্বাদ 

নিমের তিক্ততা লালা উৎপাদন বাড়ালেও অনেকে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।  

১৮. দাঁতের রং পরিবর্তন

হলুদের অতিরিক্ত ব্যবহার দাঁত হলুদ করে দিতে পারে।  

১৯. পেটে জ্বালাপোড়া

খালি পেটে সেবনে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।  

২০. পরিমিত ব্যবহার জরুরি

 উপকার পেতে অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন। দীর্ঘমেয়াদি প্রয়োগের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।  

সতর্কতা

প্রাকৃতিক উপাদান হলেও ব্যক্তিভেদে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী, শিশু বা ক্রনিক রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে相談 করুন।