আপনি কি জানেন হিন্দু ধর্মে ১২ মাসে ১৩ পূজা কেন হয়!!!!! কি বা তার প্রকৃত কারণ এখনই তা জেনে নিন!!! ২০২৫!!!!!

                                             হিন্দু ধর্মে ১২ মাসে ১৩ পূজা কেন হয়? ????????

হিন্দু ধর্মে "১২ মাসে ১৩ পার্বণ" কথাটি প্রচলিত আছে, যা মূলত বাংলার হিন্দু সমাজের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন। এই উক্তির মূল কারণ হলো— বাংলা সনের প্রতি বছর একটি অতিরিক্ত মাস (অধিমাস বা মল মাস) যুক্ত হয়, যা প্রতি প্রায় ৩ বছর অন্তর আসে। এই সময়েও নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পূজা অনুষ্ঠিত হয়, ফলে সাধারণ ১২ মাসের সঙ্গে এই অতিরিক্ত মাস যোগ হয়ে ১৩টি পূজা বা পার্বণের সূচনা করে।

১২ মাসে ১৩ পূজার কারণ:
অধিমাস (মল মাস): প্রতি ৩ বছর অন্তর বাংলা ক্যালেন্ডারে একটি অতিরিক্ত মাস যুক্ত হয়, যা "মল মাস" বা "অধিমাস" নামে পরিচিত। এই মাসে ধর্মীয় কাজের বিশেষ গুরুত্ব থাকে এবং বিভিন্ন ব্রত ও পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা: হিন্দু ধর্মে প্রতিটি মাসেই গুরুত্বপূর্ণ কোনো না কোনো দেবতার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। যেমন—

👉 মাঘ মাস: সরস্বতী পূজা

👉 চৈত্র মাস: চৈত্র নবরাত্রি ও বসন্ত পূজা

👉 বৈশাখ মাস: মহাবিষুব সংক্রান্তি

👉 জ্যৈষ্ঠ মাস: শনি জয়ন্তী

👉 আষাঢ় মাস: জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা

👉 শ্রাবণ মাস: শ্রাবণী সোমবার ও নাগপঞ্চমী

👉 ভাদ্র মাস: জন্মাষ্টমী ও গণেশ চতুর্থী

👉 আশ্বিন মাস: দুর্গাপূজা

👉 কার্তিক মাস: কালীপূজা ও দীপাবলি

👉 অগ্রহায়ণ মাস: অন্নকূট উৎসব

👉 পৌষ মাস: পৌষ সংক্রান্তি ও মকর সংক্রান্তি

👉 মাঘ মাস: সরস্বতী পূজা

👉 ফাল্গুন মাস: শিবরাত্রি ও দোলযাত্রা

বাঙালি সংস্কৃতির বিশেষত্ব: বাঙালিরা আনন্দপ্রিয় জাতি এবং ধর্মীয় উৎসবকে তারা সাংস্কৃতিক রূপে পালন করে থাকে। তাই বাংলার প্রবাদে "১২ মাসে ১৩ পার্বণ" কথাটি প্রচলিত। "১২ মাসে ১৩ পূজা" মূলত হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন দেব-দেবীর উপাসনা ও বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি প্রতিফলন। এটি ধর্মীয় জীবনের বহুমাত্রিক রূপকে তুলে ধরে এবং বাঙালি সমাজের উৎসবমুখর চেতনার পরিচায়ক।

"১২ মাসে ১৩ পূজা" গুলো কি কি তা বিস্তারিত !!!!!!!!!!!!!!!!

নীচে বাংলা মাস অনুযায়ী ১৩টি প্রধান পূজা ও পার্বণ দেওয়া হলো— 🙏১. বৈশাখ মাস 📌 নববর্ষ ও গম্ভীর পূজা: বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে পূজা করা হয়। 📌 বৈশাখী বিষুব সংক্রান্তি: সূর্যের সংক্রান্তি উপলক্ষে বিশেষ পূজা হয়। 🙏২. জ্যৈষ্ঠ মাস 📌 গঙ্গা পূজা: নদীপূজা ও গঙ্গার আরাধনা করা হয়। 📌 শনি জয়ন্তী: শনিদেবের পূজা করা হয় এই মাসে। 🙏৩. আষাঢ় মাস 📌 রথযাত্রা (শ্রী জগন্নাথদেবের উৎসব): এটি জগন্নাথদেবের বিশেষ উৎসব, ওড়িশার পুরীতে এটি সবচেয়ে বিখ্যাত। 🙏৪. শ্রাবণ মাস 📌 শ্রাবণী সোমবার: মহাদেব বা শিবের পূজা করা হয়। 📌 নাগপঞ্চমী: সর্পদেবতার পূজা করা হয়। 🙏৫. ভাদ্র মাস 📌 জন্মাষ্টমী: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। 📌 গণেশ চতুর্থী: গণেশ পূজা ধুমধাম করে করা হয়। 🙏৬. আশ্বিন মাস 📌 দুর্গাপূজা: বাঙালিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। 🙏৭. কার্তিক মাস 📌 কালীপূজা ও দীপাবলি: দেবী কালীর আরাধনা করা হয় এবং দীপাবলি উৎসব পালিত হয়। 🙏৮. অগ্রহায়ণ মাস 📌 অন্নকূট উৎসব: শ্রীকৃষ্ণের সম্মানে পালিত হয়, গোবর্ধন পূজার অংশ। 🙏৯. পৌষ মাস 📌 পৌষ সংক্রান্তি ও মকর সংক্রান্তি: নতুন ফসলের জন্য দেবতাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। 🙏১০. মাঘ মাস 📌 সরস্বতী পূজা: বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। 🙏১১. ফাল্গুন মাস 📌 মহাশিবরাত্রি: শিবের বিশেষ পূজা করা হয়। 📌 দোলযাত্রা (হোলি উৎসব): শ্রীকৃষ্ণের রঙের উৎসব। 🙏১২. চৈত্র মাস 📌 চৈত্র নবরাত্রি ও বসন্ত পূজা: দেবী দুর্গার নবরাত্রি ব্রত পালন করা হয়। 🙏১৩. অধিমাস (মল মাস) 📌 বিষ্ণুর পূজা ও বিভিন্ন ব্রত: এই মাসে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয় এবং ব্রত পালন করা হয়। উপসংহার এই ১৩টি পূজা হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা ভক্তিভরে পালন করা হয়। তবে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন সম্প্রদায় কিছু বাড়তি উৎসবও পালন করতে পারে। বাংলার ঐতিহ্যে "১২ মাসে ১৩ পূজা" এক অনন্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিচ্ছবি।

🙏🙏THANKS ALL.........🙏🙏

💕💕KOMOL CHANDRA MOHONTA💕💕